হিরো আলমের মুচলেকার ৩ বিষয়ে কী আছে?
বিকৃত, রুচিহীন ও জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী কন্টেন্ট তৈরিসহ বেশ কিছু অভিযোগে আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলমকে ডেকেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট। আজ বুধবার ডিবি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সেখানে তাকে বিকৃত সুরে গাওয়া গান, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক বিকৃত করে পরে অভিনয় এবং কন্টেন্ট তৈরির উদ্দেশ্যসহ বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে হিরো আলম জানিয়েছেন, মূলত অর্থ রোজগারের জন্যই বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যুতে তিনি কন্টেন্ট তৈরি করে থাকেন। এক্ষেত্রে গুণগত মানের চেয়ে ভিউকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
তার কন্টেন্টে বাংলাদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক বিকৃত করে অশোভনভাবে উপস্থাপন করতে দেখা গেছে। এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া এসব পোশাক পরে অভিনয় করা যায় না, সেটি তিনি জানতেন না। জানার ঘাটতি থাকার কারণেই এমন হয়েছে।
দেশের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, মডেল ও অভিনেত্রীকে নিয়ে অশ্লীল গান (যেমন- পালালো পালালো মুরাদ হাসান, রাতের রানী পিয়াসা, মৌ ও পরীমণিকে নিয়ে গান) কেন তৈরি করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এছাড়াও বিভিন্ন গুণী শিল্পীর গান বিকৃত সুরে গাওয়া, জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয় এমন কন্টেন্ট তৈরি ও প্রকাশ করার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসব বিষয়ে তিনি তার ভুল স্বীকার করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কিছু আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, হিরো আলমের মুচলেকায় তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-
♦ হিরো আলম অভিনয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো বিশেষ বাহিনীর পোশাক বিকৃতভাবে উপস্থাপন না করে তা যথাযথ নিয়ম মেনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করবেন;
♦ বাঙালি সংস্কৃতি বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয় এমন কোনো কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করবেন না;
♦ জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী, ব্যঙ্গাত্মক, মানহানিকর ও হেয়প্রতিপন্নমূলক কোনো কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করবেন না।