নাচতে নাচতেই কমবে ওজন
শরীরের সঙ্গে মনের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে চান? খুবই কম সময়েই কমাতে চান ওজন? কিংবা একা শরীরচর্চা করতে গিয়ে একঘেয়ে লাগছে? এই সবকিছুরই সমাধান হতে পারে জুম্বা।
জুম্বা একটি জনপ্রিয় দলীয় শরীরচর্চা কর্মসূচি। এর মূল ভিত্তিই হলো নাচ। এখানে ল্যাটিন মিউজিকের তালে তালে দল বেঁধে নাচতে নাচতে ব্যায়াম চলতে থাকে। সাধারণত এক ঘণ্টা সময় নিয়ে এই শরীরচর্চা করা হয়। আর এ সময়ে বার্ন হয় ৫০০ থেকে ৬০০ ক্যালরি। যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য জুম্বা আদর্শ। এটি মূলত একটি কার্ডিও এক্সারসাইজ। যেখানে শরীরের প্রায় প্রতিটি অংশের নড়াচড়া হয়। যে কারণে ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে।
একা একা শরীরচর্চা করাটা বেশির ভাগ সময়ই বিরক্তিকর। একঘেয়ে হয়ে ওঠে শরীরচর্চার অনুশীলন। অনেকে আবার ধৈর্যও হারিয়ে ফেলেন। জুম্বা যেহেতু গানের তালে তালে নাচ, তাই এতে বোর হওয়ার সুযোগই নেই। আর গানের সুরগুলোই এমন যে স্বাভাবিকভাবেই নেচে উঠবে আপনার শরীর। এ জন্য সারা দুনিয়াতেই দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জুম্বা, এমনটাই বললেন জুম্বা ইনস্ট্রাক্টর সুমাইয়া চৌধুরী।
প্রথমে ধীরলয়ে শুরু হয় গান। আস্ত আস্তে দ্রুত হয় লয়, তার সঙ্গে বাড়তে থাকে নাচের গতি। দ্রুত তালের এই নাচের সময় হৃৎস্পন্দনের গতিও বেড়ে যায়। তাই জুম্বার শেষ ১৫ মিনিটে আবার প্রশান্তির গান বাজিয়ে স্বাভাবিকে আনা হয় নাচের গতি। হৃৎস্পন্দনও এতে আস্ত আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকে, এমনটাই বলছিলেন ফিটনেস পরামর্শক রুশলান হোসেইন। নাচের গতি আস্তে আস্তে না কমিয়ে হুট করে জুম্বা শেষ করে দিলে হার্টের ক্ষতি হতে পারে বলে এই প্রশিক্ষকেরা জানালেন।
জুম্বা ড্যান্সের উৎপত্তিস্থল কলম্বিয়া। এই মিউজিক ফিটনেস প্রোগ্রামে মূলত চারটি বেসিক ল্যাটিন সুরের ওপর অনুশীলন করানো হয়। সালসা, মেরেঙ্গে, রেগেটন ও কুম্বিয়া—এই চার সুরের নির্ধারিত তালে তালে চলে জুম্বা ড্যান্স। অনেকেই অ্যারোবিকস আর জুম্বাকে এক করে ফেলেন। সুমাইয়া চৌধুরী বলছিলেন, অ্যারোবিকসের সঙ্গে জুম্বার যথেষ্ট পার্থক্য আছে। জুম্বা করলে যেমন পুরো শরীরের কার্ডিও হয়, অ্যারোবিকস সেখানে একেকটি নির্দিষ্ট স্থান ধরে কাজ করে। এমন আরও নানা পার্থক্য আছে।
একই কথা বলছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। একসময় নিয়মিত জুম্বা করতেন এই অভিনেত্রী। যেহেতু জুম্বা নাচে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরই মুভমেন্ট থাকে, তাই বডি টোনিংয়ের জন্য এর সত্যিই কোনো বিকল্প নেই। ওজন কমানোর