কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপি চা খেতে যাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে

ঢাকা পোষ্ট প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৯:৩৪

রাজনীতিতে ভিন্ন মত থাকবে, ভিন্ন পথ থাকবে, মতবিরোধ থাকবে; এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু সেই সৌন্দর্যই হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের রাজনীতি থেকে। বাংলাদেশে ভিন্নমত মানেই প্রতিপক্ষ, মতবিরোধ মানেই শত্রু। সবাই যদি একই মতের হতো, তাহলে তো দেশে দল থাকতো একটাই।


আলাদা মত, আলাদা পথ আছে বলেই আলাদা আলাদা দল আছে। তবে আলাদা মত, আলাদা আদর্শ হলেই শত্রু হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যার যার মতো সে তুলে ধরবে। জনগণ যেটা গ্রহণ করবে, তাদেরকেই ভোট দেবে। মত যত ভিন্নই হোক, তবু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ মতবিরোধ কমিয়ে আনে।


একটা সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য আলাপ-আলোচনা জরুরি। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই রাজনীতিতে সেই সুস্থতা অনুপস্থিতি। বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই দ্বিদলীয় ধারা বিদ্যমান। একটি ধারার নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ, আরেকটি বিএনপি।


এই দুই দলের মধ্যেই ক্ষমতার পালাবদল ঘটে, তাদেরকে ঘিরেই আবর্তিত হয় রাজনৈতিক তৎপরতা। মুখোমুখি অবস্থান হলেও এই দুই দলের মধ্যেও আলাপ-আলোচনা ছিল। একসময় তারা সমান্তরাল অবস্থানে থেকে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে।


পর্দার পেছনে যেমন পর্দার সামনেও এই দুই দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি, তবু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের সাথে বিএনপি মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার সংলাপ; বাংলাদেশের রাজনীতির একটি আলোচিত অধ্যায়। কিন্তু অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি অচলাবস্থা বিরাজ করছে। পর্দার সামনে তো নয়ই, পেছনেও দুই দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার কোনো লক্ষণ নেই।


আলাদা মত, আলাদা পথ আছে বলেই আলাদা আলাদা দল আছে। তবে আলাদা মত, আলাদা আদর্শ হলেই শত্রু হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যার যার মতো সে তুলে ধরবে। 


শুধু আদর্শ বা মতবিরোধ নয়; আওয়ামী লীগ আর বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান শত্রুতাপূর্ণ। এই শত্রুতাপূর্ণ অবস্থানের দায় অনেকটাই বিএনপির। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।


শেখ হাসিনা কপালগুণে বেঁচে গেলেও আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছিল সেই হামলায়। পরে প্রমাণিত হয়েছে, তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপির পরিকল্পনায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেই সেই হামলা চালানো হয়েছিল।
আপনি যখন জানবেন, কেউ আপনাকে প্রাণে মেরে ফেলতে চায়, তাহলে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনায় আপনি আগ্রহী হবেন না। তারপরও শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে আন্তরিকতার প্রমাণ রাখা হয়েছে।


বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে ছুটে গিয়েছিলেন গুলশানে বিএনপি চেয়াপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেখানে কেউ ছিলেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর জন্য অফিসের গেটও খোলা হয়নি। বন্ধ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে আসতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে।


২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে বেগম খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু হরতাল থাকার অজুহাতে সে আমন্ত্রণে সাড়া দেননি বেগম খালেদা জিয়া। বরং প্রধানমন্ত্রীকে মুখের ওপর অনেক কথা শুনিয়েছিলেন। এখন আপনি যদি আমন্ত্রণ গ্রহণ না করেন, দরজা না খোলেন আলোচনা হবে কীভাবে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও