
সংস্কারের অজুহাতে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমানোর ঘোষণা রাশিয়ার
নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের টারবাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বুধবার (২৭ জুলাই) থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কমে যাবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ান এনার্জি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম।
গ্যাজপ্রম বলেছে, নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের আরেকটি টারবাইন বন্ধ করলে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ২০ শতাংশ কমে যাবে। যা ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের বর্তমান স্তর থেকে অর্ধেক কমে যাবে।
তবে জার্মান সরকার বলছে, গ্যাস সরবরাহ সীমিত করার কোনো প্রযুক্তিগত কারণ নেই। এর ফলে শীতের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর তাদের গ্যাসের মজুত করা আরও কঠিন হয়ে পড়লো।
বর্তমানে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপ লাইন দিয়ে ধারণ ক্ষমতার মাত্র ৪০ শতাংশ গ্যাস আসছে। এখন নতুন করে সংস্কার কাজ চালানোর কথা বলে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় সরবরাহের পরিমাণ আরও কমে যাবে।
বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ দিন সংস্কারকাজ চালানোর পর সপ্তাহ খানেক আগে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু করে রাশিয়া। কিন্তু এর মাঝেই আবারও সংস্কার কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বর্তমানে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপ লাইন দিয়ে ধারণ ক্ষমতার ৪০ শতাংশ গ্যাস আসার জন্য কানাডাকে দায়ী করে রাশিয়া। কারণ কানাডায় গ্যাজপ্রমের একটি টারবাইন আটকে আছে। রাশিয়ার দাবি এ টারবাইন তারা ফেরত না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের গ্যাসের সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় কমিশন আগামী সাত মাসের মধ্যে গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। এবং সতর্ক করে বলেছে, রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, রাশিয়া ইইউতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার এটি একটি সম্ভাব্য চিত্র।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে গ্যাসের দাম বেড়েছে, যার ফলে ভোক্তাদের জ্বালানি বিলের ওপর প্রভাব পড়েছে।