নেভে না দোকানের আলো

সমকাল প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৮:২২

শনিবার, রাজধানীর মৌচাক। ঘড়িতে রাত ৮টা ২০। মৌচাক মার্কেটের নিচতলার ম্যাক্স গ্যালারি, বস্ত্রমেলা, প্রেসিডেন্ট ব্যাগ, জামাল জেনারেল স্টোরসহ অনেক দোকানই তখন খোলা। দোতলায় উঠে দেখা গেল, বনলতা জুয়েলার্স, সংযুক্তা জুয়েলার্স, নন্দিতা কসমেটিকস, লেডিস কর্নারেও বেচাবিক্রি বেশ জম্পেশ। তৃতীয়তলা আরও আলোতে ঝলমল। চলন্তিকা, তানজিলা, বিসমিল্লাহ ফেব্রিক্সসহ আরও অনেক দোকান খোলা।


এ ছবি শুধু মৌচাক মার্কেটেই নয়, বড় কিছু শপিংমল ছাড়া রাজধানীর প্রায় সবখানেই রাত ৮টার পরও দীর্ঘ সময় খোলা থাকছে দোকানপাট। অথচ খাবার হোটেল, ওষুধের দোকানসহ জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ৮টার পর থেকে বন্ধের নির্দেশনা জারি করে বিদ্যুৎ বিভাগ। গত মঙ্গলবার জারি করা এ নির্দেশনা না মেনে প্রায় মধ্য রাত পর্যন্তও অনেক দোকান খোলা রাখছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) পক্ষ থেকে সীমিত মাইকিং ও দু-একটি দোকানপাটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। আবার যেসব প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে, পরদিন বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষই আবার তা লাগিয়ে দিচ্ছে। ফলে জ্বালানি সাশ্রয়ের যে উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার পিক আওয়ারে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তা অনেকটাই ভেস্তে যেতে বসেছে।


এ ব্যাপারে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান সমকালকে বলেন, কারও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। সচেতন করাই লক্ষ্য। এ জন্য প্রতিদিন দুটি দল মাঠে মাইকিং করছে।
এতে দোকানিরা সচেতন হচ্ছেন। বড় শপিংমলগুলোকে তাদের লোড কমাতে বলা হচ্ছে। যেমন বসুন্ধরা সিটির ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। তাদের লোড কমাতে বলার পর দেড় মেগাওয়াট লোড কমিয়েছে। কিছু দোকানি ৮টার পরও তাদের ক্রেতাদের বিদায় করা পর্যন্ত খোলা রাখছে। এতে বেশ সুফল মিলছে বলে উল্লেখ করেন বিকাশ দেওয়ান।


তবে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাওসার আমীর আলী বলেন, প্রতিদিন আমাদের টিম বের হচ্ছে। বড় বিপণিবিতানগুলো সরকারের সিদ্ধান্ত মানছে। ছোট দোকানগুলো অনেক সময় খোলা থাকছে। তাদের এ বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে।
গত শনি ও রোববার রাত ৮টার পর রাজধানীর নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর, শান্তিনগর, বেইলি রোড, চকবাজার, কাকরাইল, গুলশান, বনানী টিকাটুলীসহ পুরান ঢাকার বেশকিছু এলাকায় সমকাল প্রতিবেদকরা সরেজমিন যান। এতে রাত ৮টার পরও অসংখ্য দোকানপাট খোলা রাখার দৃশ্য চোখে পড়ে। প্রধান সড়কের কিছু বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা গেলেও উপসড়কগুলোতে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। সেখানে সব দোকানই স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত মালিকরা খোলা রাখছেন। আবার এমনও কিছু দোকান দেখা গেছে, যাঁরা বিদ্যুতের লাইট-ফ্যান বন্ধ করে চার্জার লাইট ও ফ্যান চালিয়ে দোকান খোলা রাখছেন।


দোকান মালিকরা বলছেন, সারাদিন কাজকর্ম, অফিস-আদালত শেষ করে সন্ধ্যার পরই কেনাকাটা করতে মানুষ দোকানে ঢোকেন। সকাল ৯টার বদলে দুপুর ১টা থেকে দোকান খোলার নিয়ম করা হোক। আর বন্ধ করার সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে ৯টা করা হোক। তাহলে তাঁদের সুবিধা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও