টাকার দাম কমছেই, সামনে কী দশা?

প্রথম আলো সুবাইল বিন আলম প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ১৯:৫১

এখন প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি টাকার অবমূল্যায়ন। প্রথমবারের মতো ডলার আর ইউরোর দাম সমান হয়েছে। আর ফল হিসেবে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন, বাংলাদেশের টাকা আর কত অবমূল্যায়িত হতে পারে?


প্রথমেই কিছু তাত্ত্বিক কথা শুনে নিই। নমিনাল কার্যকর মুদ্রা বিনিময়ের (এনইইআর) হার যেটা আমরা দেখি, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন মুদ্রার মধ্যে তুলনা করে ঠিক করে দেয়। আরেকটা মুদ্রা বিনিময়ের হার আছে—বাস্তব মুদ্রা বিনিময়হার (রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট—আরইইআর), যা আরেকটি দেশের সঙ্গে সব দেশের ব্যবসার তুলনা এবং ক্রয়ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। আর এখানেই আমরা পিছিয়ে যাই। আমাদের এনইইআর ডলারের সাপেক্ষে এখন প্রায় ৯৪ টাকা, কিন্তু আরইইআর মে-২০২২–এ ছিল ১১৬ দশমিক ২ টাকা (সূত্র বাংলাদেশ ব্যাংক মনিটরি পলিসি-২০২০)। এই ব্যবধান শুরু হয়েছিল জুন–২০১৬ থেকে।


সরকারের প্রথম চেষ্টা আইএমএফ থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়ার। আইএমএফ যদি দেয়ও, তাদের অনেক শর্ত মেনে নিতে হবে। এর মধ্যে টাকার মূল্যমান ঠিক করা, সব ক্ষেত্রে ভর্তুকি কমানোসহ অনেক কঠিন শর্ত থাকতে পারে। ফলাফল হিসেবে আরও বেশি মূল্যস্ফীতি আসতে পারে।


বিভিন্ন ফোরকাস্টিং ওয়েবসাইটও আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের পর একটা বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা বলছে। আরইইআর যত বেশি হয়, আমদানি পণ্যের দাম তত বাড়ে এবং রপ্তানির দাম কমতে থাকে। ফলে দেশের ক্রয়ক্ষমতা কমতে থাকে। এ জন্য আইএমএফ সব সময় দুটো এক্সচেঞ্জ রেটকে এক রাখতে বলে। আর আরইইআরকে রাখার চেষ্টা করতে বলে ১০০–এর নিচে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন টাকার অবমূল্যায়ন করে এই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও