You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর

সপ্তাহ তিনেক দেশের বাইরে ছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের দ্বিবার্ষিক সম্মিলনীতে অংশ নিতে। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম বাইরে যাওয়া। প্রায় আড়াই বছর কভিড-১৯-এর কারণে অনেকটা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। এই সময়ে দেশের বাইরে যাওয়া মানে নানা ধরনের বাড়তি কাগজপত্র আর বিমান সংযোগ পাওয়ার ঝক্কি। বিমান সংস্থাগুলো টিকিটের দাম বৃদ্ধির একটা প্রতিযোগিতায় নেমেছে মনে হলো। টিকিটের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকিট এই আছে তো এই নেই। অনেক কষ্টে পাওয়া গেল টিকিট। মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমান সংস্থার বিমানে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস (এলএ) হয়ে আমার গন্তব্যস্থল হনলুলু।

রাতের ফ্লাইট। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে পাসপোর্ট আর বোর্ডিং পাস এগিয়ে দিতেই তিনি আমার দিকে তাকিয়ে সালাম দিয়ে বললেন, ‘স্যার, আপনি তো ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন। ’ জবাবে বলি, আমি তো এখন কোনো ভিআইপি পদ ধারণ করি না। ইমিগ্রেশন অফিসার অবাক হয়ে বললেন, কত মানুষই তো ভিআইপি না হয়ে প্রতিদিন এই সুযোগ গ্রহণ করছেন। বলি, তাঁরা হয়তো সাবেক বা বর্তমান আমলা হবেন, কারণ তাঁরা আজীবন ভিআইপির সুযোগ পেয়ে থাকেন। দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর আর সুবিধাভোগী পেশার মানুষ তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে আমাদের তুলনা না করাই ভালো। একটি চেক ইন লাগেজ ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত চেক ইন করেছিলাম। এলএতে গিয়ে দেখি, আমি ইমিগ্রেশন পার হওয়ার আগেই আমরা ব্যাগ চলে এসেছে। এরপর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে হনলুলু যেতে হবে। এখানে প্রথম চেক ইন ব্যাগের জন্য ৩০ ডলার আর পরেরগুলোর প্রতিটির জন্য ভাড়া গুনতে হবে ৪৫ ডলার। আমার একটা ব্যাগই ছিল। বেশির ভাগ মার্কিন ছোট কেবিন ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক নিয়ে ভ্রমণ করেন।

সময়মতো বিমান ছাড়ল। বিমানবালার কাছে পানি চাইলে তিনি বললেন, দুই ডলার লাগবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোতে পানিসহ সব ধরনের খাবার কিনে খেতে হয়। তা-ও আবার ক্রেডিট কার্ডে। প্রায় সব কেনাবেচা কার্ডেই করার রেওয়াজ। ক্যাশ টাকার লেনদেন খুবই সীমিত। বিমানের মধ্যে খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুণ। যাত্রীরা অনেকেই খাবার কিনে বিমানে চড়েন। রাতে হনলুলুতে পৌঁছে ট্যাক্সি নিয়ে যখন আমার পুরনো ক্যাম্পাসে পৌঁছলাম তখন রাত প্রায় ১১টা। ট্যাক্সিভাড়া দিতে গিয়ে দেখি এর আগে ২০০৮ সালে যখন এসেছিলাম তার তুলনায় এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে তিন গুণ হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের বেলায় দেখি পুরো ক্যাম্পাস খাঁ খাঁ করছে। আগে গ্রীষ্মে সব বিভাগেই কিছু ক্লাস হতো। সেমিস্টার ১২ সপ্তাহের বদলে ছয় সপ্তাহে কমিয়ে আনা হতো। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে এই বছর থেকে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ বন্ধ।  

হনলুলুতে সম্মিলনী অনুষ্ঠান শেষ করে এলএ। এখানে আমার বন্ধু ইফতেখারের সঙ্গে কয়েক দিন সময় কাটাব। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম দেখা হবে। আগেই পৌঁছানোর সময় বলে দিয়েছিলাম। সে জানিয়েছে, নেমেই যেন ফোন দিই। এখানে গাড়ি পার্কিংয়ে রাখলে পাঁচ থেকে ১০ ডলার দিতে হবে। ব্যাগ নিয়ে ট্রলি খুঁজতে গিয়ে দেখি তা নিতে হলে ছয় ডলার ভাড়া দিতে হবে। এই দেশে বিনা পয়সায় কিছুই মেলে না। ইফতেখারের বাসায় গিয়ে দেখি সে আমার জন্য বরাদ্দ কক্ষ আগে থেকেই এসি চালিয়ে ঠাণ্ডা করে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্টেটে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুতের পিক আওয়ার। এই সময় বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে তার বিল দিতে হবে দ্বিগুণ হারে। এসি, ওয়াশিং মেশিন, ডিশ ওয়াশার, রান্নাবান্না মানুষ এই সময়টা এড়িয়ে করার চেষ্টা করে। বাড়িতে যতটুকু আলো না থাকলেই নয়, তাই জ্বালানো হয়। আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা চালু করতে পারলে বিদ্যুতের কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে বলে বিশ্বাস। ইফতেখার আরো জানাল, বাড়িতে গাড়ি ধোয়া নিষেধ। তা করার জন্য কার ওয়াশিংয়ের দোকানে নিয়ে যেতে হবে। সেই সেবার রেটও সময়ভেদে কমবেশি হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন