কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফেইসবুক বাংলাদেশে বাণিজ্য করছে কিন্তু দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছে না

দেশ রূপান্তর মফিদুল হক প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২, ১০:০৩

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক একাধারে লেখক, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও প্রকাশক। দেশের নানা প্রগতিশীল সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সংগঠকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তিনি। প্রবন্ধ সাহিত্যের জন্য ২০১৪ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলার্সের সদস্য এবং ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস’-এর প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক তিনি।  সম্প্রতি নড়াইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের ওপর হামলা এবং শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা, সামাজিক পরিসরে বিদ্বেষ ও অপপ্রচারসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন মফিদুল হক।


নড়াইলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা


মফিদুল হক : প্রথমত এ ধরনের হামলার ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, অত্যন্ত বেদনাদায়ক। দ্বিতীয় যে বিষয়টি, হামলা ঠেকতে না পারা, বা এসব প্রতিরোধ করার যে শক্তি সেটা আমরা কেন হারিয়ে ফেললাম তার কারণগুলো আমাদের অনুসন্ধান করা দরকার, সেসব নিয়ে বিশদ আলোচনা করা দরকার। আর এই তথাকথিত ধর্ম অবমাননার যে অভিযোগ তোলা হয় অনেক ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে যে সেটা করা হচ্ছে কোনো একটা ফেইক আইডি থেকে কিংবা কোনো ব্যক্তির ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে বা অন্য কোনোভাবে। আবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার যে অভিযোগ তোলা হয়, সেটা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু যখন হামলা চালানো হয় তখন ওই ব্যক্তির পরিবারসহ গোটা এলাকা বা গ্রামে ওই ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা করা হয়। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয় কিন্তু আক্রমণ করা হয় পুরো গোষ্ঠীকে। একজন ব্যক্তির অপরাধ যদি প্রমাণিতও হয় তার জন্য পুরো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে হামলা করার তো কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। এক্ষেত্রে ‘মব ফ্রেঞ্জি’র কথা বলা হয়, বলা হয় যে ‘উন্মত্ত জনতা’ হামলা চালিয়েছে। আর পুলিশও খুব সুন্দরভাবে অজ্ঞাতনামা চারশো পাঁচশো মানুষের বিরুদ্ধে মামলাও ফেঁদে বসে। দীর্ঘদিন ধরে এরকম একটা চক্রের মধ্যেই ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হচ্ছে। আর এই চক্রটা এই প্যাটার্নটাও আমাদের খুবই চেনা হয়ে গেছে। কিন্তু এই প্যাটার্ন আমাদের জানা হলেও এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিচ্ছি না।


প্রথমত এই শিক্ষা নেওয়া দরকার আমাদের পুলিশ প্রশাসনের। সারা দেশে এতগুলো ঘটনা থেকে পুলিশ কী শিখল? তাদের কাজে তো কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। কোনো ঘটনাতেই পুলিশকে প্রো-অ্যাকটিভ দেখা গেল না। তারা বরাবরই রি-অ্যাকটিভ। আবার সেই রি-অ্যাকশনও খুবই বিলম্বিত। অর্থাৎ এমন হামলার ঘটনায় পুলিশের কর্মকা-ও একটা প্যাটার্নের মধ্যে চলে এসেছে। এমন হামলার চক্রটা কোথায় তা দৃঢ়তা নিয়ে ভাঙতে হবে। শক্তভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। কোনো এক জায়গায় সেটা করা হলে সমাজে সেটার প্রভাব পড়ত। কোথাও যে সেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাচ্ছে না সেটাও কিন্তু বারবার এমন হামলার কারণ। একটা বিষয় স্পষ্ট যে এই ধরনের হামলা ঘটানো হচ্ছে। কারা সেটা ঘটাচ্ছে, কীভাবে ঘটাচ্ছে তারও একটা ধারণা আমরা পাচ্ছি। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে না। আসলে ঘটনা তো চারশো পাঁচশো মানুষ ঘটাচ্ছে না। কারা তাদের উসকানি দিচ্ছে, কারা এমন জঘন্য হামলায় মদদ দিচ্ছে তাদের নাম-ধাম সামনে আনা দরকার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও