বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিতরণের ক্ষেত্রে কৌশলী হতেই হবে
সাম্প্রতিক সময়ে-ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পৃথিবীতে যে দুইটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হলো জ্বালানি তেলের সংকট এবং বিদ্যুতের ঘাটতি। এটা ঠিক যে এই যুদ্ধের ফলে যে মানবিক বিপর্যয় দুই দেশে নেমে এসেছে সেটি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই যুদ্ধের ফলে উভয় দেশেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে সামরিক এবং বেসামরিক প্রচুর মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। একবিংশ শতাব্দিতে এই ধরনের যুদ্ধ কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না। তাছাড়া এই যুদ্ধের প্রভাব শুধুমাত্র ওই দুই দেশের সীমাবদ্ধ নেই।
আমরা এখন বৈশ্বিক অঞ্চলে বাস করি। ফলে এক দেশের অচলাবস্থা অন্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করবে-এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবাই জানি যে জ্বালানি তেল এবং গ্যাস রফতানিতে রাশিয়া পৃথিবীর অন্যতম। এই যুদ্ধের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার ওপরে যে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে তারই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া জ্বালানি তেল এবং গ্যাস রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে জ্বালানি তেলের মূল্য যেমন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এই গ্যাস এবং জ্বালানি তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।