সড়ক দুর্ঘটনা হঠাৎ বাড়লো যে কারণে

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ০৯:০২

সম্প্রতি বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই সড়কে ঝরছে প্রাণ। এর পেছনে চালকদের বেপরোয়া আচরণসহ সড়কে অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতা ও আইনের প্রয়োগের অভাবকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, প্রকৌশলগত কিছু সমস্যার সমাধান এবং কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ালে সড়কে মৃত্যু কমবে।


বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের ৬ যাত্রী নিহত জন। ২০ জুলাই বরিশালের বাকেরগঞ্জে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে মারা যান ৫ জন। ২১ জুলাই গোপালগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় নসিমনে থাকা ১৪ জন নির্মাণ শ্রমিকের মধ্যে ৫ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।


২২ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে ২০ জন আহত হন। একই দিন ফেনী-নোয়াখালী অঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নারীসহ দুজন মারা যান।


২২ জুলাই দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ট্রাকচাপায় মারা যান এক বৃদ্ধা। এদিন সকালে রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বেইলি ব্রিজ বাজার এলাকায় বাসচাপায় এক অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়।


নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সড়কে দুর্ঘটনা এত বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ হলো- আইন প্রয়োগের অভাব, সমন্বয়হীনতা, চালকদের প্রশিক্ষণে ঘাটতি। এ ছাড়া প্রতিযোগিতা, মহাসড়কে নসিমন, ইজিবাইক, রিকশাসহ ছোট যানবাহনের চলাচল এবং পথচারীদের অসচেনতাও দায়ী।’


তথ্য বলছে, ২১ জুলাই রাজধানীর বংশালে রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ইডেন মহিলা কলেজের এক ছাত্রী মারা যান। ২০ জুলাই রংপুর সদরের পাগলা পীর এলাকায় বাসচাপায় মোটরসাইকেলের আরোহীসহ দুজন মারা যান। ১৯ জুলাই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বাস, কাভার্ডভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের চতুর্মুখী সংঘর্ষে তিন জন মারা যান।


বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এসব দুর্ঘটনার পেছনে প্রকৌশলগত কিছু কারণ রয়েছে। সড়ক তৈরিতে সমন্বয়হীনতা, নির্মাণের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটিও অন্যতম কারণ।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও