নির্যাতিত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির ধীরগতি

দেশ রূপান্তর সালেক খোকন প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২২, ১৫:৫৭

একজন নির্যাতিত নারী মুক্তিযোদ্ধা বা ‘বীরাঙ্গনার’ জীবনের গদ্য শুনতে বছরখানেক আগে মুখোমুখি হই লাইলী বেগমের। তার বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে। একাত্তরে কীভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন তিনি? তার ভাষায়, “আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি, পিপিএম হাইস্কুলে। একটু দুষ্টু ছিলাম। ছিলাম প্রতিবাদীও। বাবা আব্দুল লতিফ ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জে ফরিদপুর গ্রামের আওয়ামী লীগের সভাপতি। দেশে তখন যুদ্ধ চলছে। ফেঞ্চুগঞ্জে পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্প বসায় কাইয়ার গুদামে। তাদের সহযোগিতায় ছিল শান্তি কমিটি ও রাজাকারের লোকেরা। পাকিস্তানি সেনারা আসার পরই হানা দেয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে। ভয়ে বাবা পালিয়ে বেড়ান। তখন চাচা কালা মিয়াই দেখভাল করতেন আমাদের। এভাবে কাটে তিন-চার মাস। অতঃপর একদিন গোপনে বাবা গ্রামে আসেন দেখা করতে। সঙ্গে ছিলেন পাল পাড়ার বানু মিয়া। দুপুরে তার বাড়িতেই ওঠেন।


তারা গ্রামে ঢুকতেই কে যেন খবর দিয়ে দেয় রাজাকারদের। ওরা দ্রুত খবর পাঠায় পাকিস্তানি আর্মিদের ক্যাম্পে। ফলে ওরা অ্যাটাক করে বানু মিয়ার বাড়িতে। বাবা দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও বানু মিয়া পারেননি। খাওয়া নাকি কোরআন শরিফ পড়ার মতো! অথচ ভাত খাওয়া অবস্থায়ই তাকে গুলি করে মারে ওরা। ওইদিন সন্ধ্যার পর বাবার খোঁজে বাড়িতে আসে পাঁচ-সাতজন রাজাকার। ফরিদপুর গ্রামের রাজাকার মঈন মিয়া, রশিদ মিয়া, মনাই মিয়া, তোতা মিয়া ছিল। আমি তখন পড়তে বসেছি। ওরা আমার চাচারে ধইরা নিতে চায়। তারে উঠানে নিলেই আমি সাহস করে সামনে যাই। জানতে চাই তার অপরাধ কী? ওরা বলে ‘ইন্ডিয়ার খবর শুনে কেনে। সভাপতি চেয়ারম্যানের কাছে নিয়া ছেড়ে দিমু।’ তখন চাচার লগে ওরা আমারেও তুইলা নেয়। নিয়ে যায় কাইয়ার গুদামে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও