সবার জন্য বিএনপির দরজাও খোলা
দেশ পরিচালনায় পুনরায় ক্ষমতায় আসতে ‘মাঠের বিরোধী দল’ বিএনপিও শক্তি সঞ্চয়ে মরিয়া হয়ে রাজপথে নামতে চায়। এজন্য দলের শক্তি বাড়াতে সরকারি দলের চেয়ে সব ব্যারামিটারে এগিয়ে থাকতে চায় তারা। দল এবং জোটের কলেবর বাড়াতে ইতোমধ্যে সবার জন্য দরজা উন্মুক্ত রাখার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা অভিমান করে দল ছেড়েছেন কিংবা নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন, তাদেরও ঘরে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দলকে আরও শক্তিশালী করতে এমন সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড।
এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের কয়েকজন যুগান্তরকে জানান, নতুন লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে পুরোদমে চলছে দল পুনর্গঠন। পাশাপাশি অন্য দল থেকে বিএনপিতে আসতে চাইলে তাদের গ্রহণ করা হবে সাদরে। এছাড়া কথিত সংস্কারপন্থি যেসব নেতা নিষ্ক্রিয় আছেন তাদেরও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে যারাই বিএনপিতে ফিরতে বা নতুন করে যোগ দিতে চান তাদের মানতে হবে বেশকিছু শর্ত। শুধু মুখে মানা নয়, মনেপ্রাণে তা বিশ্বাস ও ধারণ করতে হবে। অন্যতম শর্তের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব মেনে নেওয়াসহ জিয়া পরিবার নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা সমালোচনা করা যাবে না।
তবে যেসব নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে যাদের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় তাদের দলে ফেরা সহজ হবে না। যদি কাউকে দলে ফিরিয়ে নেওয়াও হয়, তাদের আগামী দিনে দলীয় মনোনয়ন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হবে। জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। দল করতে হলে সবাইকে শৃঙ্খলা মানতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। তবে কেউ যদি ভুল স্বীকার করে দলে ফিরতে চান তাহলে হাইকমান্ড বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে থাকে।’