কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফিরেও মানবেতর জীবনযাপন

www.ajkerpatrika.com সুনামগঞ্জ প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২২, ০৯:০২

বন্যার পানি ঘর ভাঙিয়া ভাসাইয়া নিছেগি। বউ-বাচ্চা নিয়া এখনো ঘরও যাইতাম পাররাম না। আরেকজনের বাড়িত চাইয়া তাখরাম। অন্ধ মানুষ, কাম-কাজ নাই। ঘর ঠিক করমু ক্যামনে! সরকারি সাহায্য-টাহায্যও পাই নাই।’ এভাবেই নিজের দুর্দশার কথা বলেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর রাধানগর গ্রামের কন্টু দাস।



দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী কন্টু আরও বলেন, ভিক্ষা করে পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন জোগাতেন। তাঁর এক ছেলে স্কুলে পড়াশোনা করে। মোটামুটি ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। কিন্তু স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সব তছনছ হয়ে গেছে। এখন রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত। চারদিকে থইথই পানি। এলাকার মানুষেরা বিপদগ্রস্ত। ভিক্ষাও তেমন মিলছে না।



স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি আছেন স্থানীয় বালুচর এলাকার একটি কলোনিতে। শুধু কন্টু দাসই নন, এ অবস্থা সিলেট ও সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭৫ হাজার পরিবারের সদস্যদের। বন্যার পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তাঁদের বাড়িঘর বিধ্বস্ত। বসবাসের উপযোগী নয়। তাই নিজ নিজ ভিটায় ফিরেও মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকে।



সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার শাখাইতি গ্রামের রফিক মিয়া বলেন, ‘নয়া ঘর বানাইছি। বন্যার পানি ঘর ভাসাইয়া নিছেগি। বেড়ার একটা টিনও নাই। চাচার ভাঙা ঘরে ছিলাম ১৫ দিন। এখন ঘরের চারদিকে ত্রিপল টাঙায়া ছেলে-মেয়ে নিয়া আছি। রাইত অইলে সাপ-বিচ্ছুর ভয়ে সজাগ থাকি। কাম-কাজ নাই। ঘর ঠিক করমু ক্যামনে! সরকারি সহায়তা পাই নাই।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও