ঘরে ঘরে জ্বর মৌসুমি, ডেঙ্গু নাকি করোনা
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে প্রকৃতির হাওয়া বদল হতে শুরু করেছে। আকাশ ভরা রোদ তো আবার ঘন বর্ষার হাতছানি। দেখা যাচ্ছে দিনের বেলায় প্রচুর গরম, আবার তার ভেতরে হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলো। কেউ কেউ একটু বৃষ্টিতেও ভিজলেন; আবার প্রচুর গরম থেকে ঘেমে শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল।
তাছাড়া বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে ফিরে অনেকে বাসায় বা অফিসে গিয়ে এসির নিচে বসে যান। এই যে তীব্র গরম আর হঠাৎ ঠান্ডার একটা সংমিশ্রণ হয়েছে-এখান থেকেই জ্বর-সর্দি চলে আসতে পারে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের এই গরম ঠান্ডার মধ্যে প্রায় প্রতিটি পরিবারে মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের দৈনন্দিন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় গত কয়েক দিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি এবং শরীর ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগী প্রচুর দেখা যাচ্ছে। এই জ্বর ভাইরাস দ্বারা দ্রুত একজনের মাধ্যমে আরেকজনে সংক্রামিত হয়। তবে বরাবরের মতো কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এমন ভাইরাল জ্বরের প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ভাইরাস জীবাণুর সংক্রমণের ফলে এই সর্দি-জ্বর সাত দিন স্থায়ী হতে পারে। ঔষধ ও পুষ্টিকর খাবার খেলে এই সময়ের মধ্যে জ্বর ভালো হয়ে যায়, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে এই জ্বর-সর্দিতেই যদি কোভিড আর ডেঙ্গির পরীক্ষাটা করে ফেলা যায়, তাহলে আর কোনো দ্বিধা থাকবে না। শুরুতেই যদি পরীক্ষাটা করে নেওয়া যায়, তাহলে পরে জটিলতা সৃষ্টি হয় না।
মৌসুমি ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ : হঠাৎ জ্বর আসে এবং সাত দিন ধরে চলতে থাকে। ১০২-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হয়। শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এ জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা থাকে। অনেক সময় সাথে গলা ব্যথাও থাকতে পারে। গায়ে, হাত, পায়ে তথা শরীরের পেশিতে অসহ্য ব্যথা করে। তবে এবারের জ্বরের শরীর ব্যথাটা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী একটা বৈশিষ্ট্য নিয়ে এসেছে। জ্বরে আক্রান্তদের ইতিহাস নিলে শোনা যায় প্রচণ্ড শরীর ব্যথায় মনে হয় কেউ যেন হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে, কেউ কেউ বলছেন জয়েন্টগুলো মনে হচ্ছে খুলে নিয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগেরই জ্বরের সঙ্গে পায়ে ব্যথা দিয়েই ফ্লু শুরু হচ্ছে।