কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিক্ষক লাঞ্ছনা ও সাম্প্রদায়িকতা

প্রথম আলো আসিফ নজরুল প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২২, ২০:৪৫

৭ জুলাই একটি শোচনীয় ঘটনা ঘটে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে। সামান্য বিষয় নিয়ে সেখানকার রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজার ওপর চড়াও হন রাজশাহী-১–এর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে, কিলঘুষি এবং হকিস্টিক দিয়ে প্রায় মিনিট ১৫ বেধড়ক পিটিয়ে শিক্ষককে গুরুতর জখম করেন তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর চিকিৎসক অভিযোগটি সমর্থন করলেও আক্রান্ত শিক্ষক কোনো মামলা করার সাহস পাননি। এমনকি গতকাল ১৪ জুলাই ওমর ফারুকের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক তাঁকে প্রহার করেননি এবং ‘নিজেদের ধাক্কাধাক্কির কারণে আহত হয়ে’ তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দাবি করেন সেলিম রেজা। অন্যদিকে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি, রাজশাহীর সভাপতি বলেছেন, ওমর ফারুকের কাছে মার খাওয়ার খবর সেলিম রেজা নিজে তাঁকে বলেছিলেন এবং এখন তাঁর ভয়ে তিনি তা অস্বীকার করছেন।


৭ জুলাই ঘটনার মাত্র সপ্তাহখানেক আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক আসমা সিদ্দীকা হেনস্তার শিকার হন একজন ছাত্রের কাছে। সাধারণ ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে অভিযুক্ত ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


সাম্প্রতিক কালে শিক্ষক লাঞ্ছনার আরও নির্মম কয়েকটি ঘটনা ঘটে। গাজীপুরে হকিস্টিক দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে।


তার কিছুদিন আগে নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে পুলিশের উপস্থিতিতে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানোর হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। এর আগে মুন্সিগঞ্জে বিজ্ঞানশিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে চরম অবমাননার শিকার হয়ে জেলে যেতে হয়। এ ঘটনাগুলোয় সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। শাহবাগ প্রেসক্লাবসহ সারা দেশে বিভিন্ন সমাবেশ হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জনমনের চাপে গ্রেপ্তার হয় এবং নড়াইলের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মৃদু হলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


ওপরের ঘটনাগুলো খুব সাম্প্রতিক। এ ঘটনাগুলোর শিকার হয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকেরা, বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষকেরা। কিন্তু অন্য বহু কিছুর মতো শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাগুলোও অনেকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার–বিবেচনা করছেন। কেউ এ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে শিক্ষকেরা লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন শুধু ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে, কেউ বিচার দাবি করছেন শুধু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি বিচার করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও