এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবে শ্রীলংকা
ঠিক যেন শ্রীপদ পর্বতমালা থেকে নেমে আসা বানের স্রোত। এক্ষুণি যেন শ্রীলংকার চতুর্থ দীর্ঘ (১৪৫ কিমি.) কেলানি নদীর জল উপচে ভেসে যাবে কলম্বো শহর।
সম্বিত ফিরে পেতেই দেখলাম এ হচ্ছে বাঁধভাঙা মানুষের স্রোত। জ্বালানি ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি আর অগণিত সমস্যায় দেওয়ালে পিঠ, আর পিঠের সঙ্গে পেট ঠেকে যাওয়া জনমানুষের ঢল। এ হচ্ছে ৯ জুলাইয়ের কথা। প্রেসিডেন্টের ভবন, সচিবালয় এবং মন্দিরে হামলা চালায় রুষ্ট জনতা।
সামরিক বাহিনীর সহায়তায় পালানোর পর থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী কাউকেই আর দেখা যায়নি। যদিও উভয়েরই পদত্যাগ করার কথা ছিল বুধবার। এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী পাবেন লংকানরা।
এই নাটকীয় ঘটনাগুলো হঠাৎ করে ঘটেনি। মাসের পর মাস দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি তহবিলের অপচয় এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আন্দোলন এক চলমান প্রক্রিয়া।
এসবই যে গণঅভ্যুত্থানের তাৎক্ষণিক কারণ, সন্দেহ নেই। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী জুন মাসে খাদ্যসহ মূল্যস্ফীতি ৫৪.৬ শতাংশে পৌঁছেছে। পরিবহণ খরচের পাশাপাশি তীব্র জ্বালানি সংকট নিত্যদিনের হয়ে উঠেছে। মানুষের জীবন অত্যন্ত চাপপূর্ণ। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে, হাসপাতালগুলো ধুঁকছে প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি ও পরিবহণসংকটে কর্মীদের অনুপস্থিতির দরুন।