শ্রীলঙ্কার সংকট কে সমাধান করবে?

সমকাল ড. দেলোয়ার হোসেন প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২, ১১:১৯

শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক দিনের ঘটনা নতুন মাত্রা দিয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে শ্রীলঙ্কার যে উত্থান আমরা দেখছিলাম, সে তুলনায় এ অবস্থা একেবারে বেমানান। সেখানকার নাগরিকদের একটি অংশ যেভাবে গণবিক্ষোভের ছত্রছায়ায় তুলকালাম কাণ্ড করেছে; শতভাগ শিক্ষিত শ্রীলঙ্কায় এমনটি অপ্রত্যাশিত। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, 'শ্রীলঙ্কার সংকট বেশ গভীর। বেশ কয়েক বছর ধরে এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কাকে নিজেদেরই এ সংকট কাটাতে হবে। আমরা তাদের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী ও সমর্থক। কিন্তু সংকট থেকে বের হওয়ার পথ ওদেরই বের করতে হবে।' ভারত ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে এবং দেশটির ওপর নজর রাখছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, ভারত চাইছে শ্রীলঙ্কা নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করুক।
এদিকে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। এর মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের নাম আছে। শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা-এসএলপিপির এমপি ডালেস আলাহাপেরুমা এবং সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা সাজিদ প্রেমাদাসাও রয়েছেন এ দৌড়ে। এ বিষয়ে দেশটির সংসদে ২০ জুলাই ভোট হবে। এসএলপিপির একটি অংশের সমর্থন রয়েছে রনিল বিক্রমাসিংহের প্রতি। অন্য অংশের সমর্থন আছে ডালেস আলাহাপেরুমার প্রতি। এর আগে রাজনৈতিক দল এসজেবি তাদের প্রার্থী হিসেবে সাজিদ প্রেমাদাসার নাম ঘোষণা করেছে। যে প্রার্থী অর্ধেকের বেশি ভোট পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন। ইতোমধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সংসদের স্পিকার।


সেখানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেই যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে- এমনটি ভাবার কারণ নেই। মনে রাখতে হবে, শ্রীলঙ্কার সমস্যা দুটি- একটি রাজনৈতিক, অন্যটি অর্থনৈতিক। যদিও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকে না। বস্তুত রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হলে অর্থনৈতিক সমাধানও কঠিন কিছু হবে না।
শ্রীলঙ্কার জনগণের একটি অংশের মধ্যে যে অসহিষুষ্ণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাও কম উদ্বেগজনক নয়। সন্দেহ নেই, সেখানে জ্বালানি সংকট তুঙ্গে উঠেছে।


এ সমস্যার সমাধান যে রাতারাতি হবে, তা কিন্তু নয়। অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানে সরকারকে সময় এবং সুযোগ দেওয়া চাই। তা না করে যেভাবে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হলো; যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা দেখেছি, পৃথিবীর অনেক দেশই অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছে। ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের সংকটের কথা আমরা স্মরণ করতে পারি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও