পরিবেশ দূষণ বন্ধ না হলে চামড়া ব্যবসায় সুদিন ফিরবে না
সবশেষ আপনি একজোড়া চামড়ার জুতা যে দামে কিনেছেন, দশ বছর আগে এই মানের জুতার দাম কি কম ছিল? নিশ্চয়ই না। অর্থাৎ চামড়ার জুতার দাম কমেনি, বরং বেড়েছে। কিন্তু দশ বছর আগে পশুর চামড়ার যে দাম ছিল, এখন সেই তুলনায় দাম অনেক কম। যদি জুতার কাঁচামালের দাম কম হয়, তাহলে জুতার দাম কেন বেশি—নাগরিকদের মনে এই প্রশ্নটি আছে। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কেন পশুর চামড়ার দাম তলানিতে এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কারা?
ঈদের দিন ফেসবুকে একজন লিখেছেন: ‘গরুর চামড়া খাওয়ার কোনো রেসিপি থাকলে সাজেস্ট করেন। না হয় চামড়াটি মাটিতে পুঁতে ফেলব।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ছাগলের চামড়া ১৫ টাকা। গরু ৩০০-৩৫০ টাকা। ফ্রি নিলেই পারে।’
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে মানুষের এইসব রসিকতার পেছনে রয়েছে কিছু নির্মম বাস্তবতা। বেশ কয়েক বছর ধরেই পশুর চামড়ার দাম নিয়ে যে হতাশা, সাধারণ মানুষের এইসব প্রতিক্রিয়া মূলত তারই ধারাবাহিকতা।
এ বছর ঢাকার মধ্যে সরকার নির্ধারিত প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। আর ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা।
গত কয়েক বছরের খরা কাটিয়ে এ বছর একটু ভালো দাম পাবেন, এই আশায় কোনও কোনও মৌসুমি ব্যবসায়ী কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় প্রতিটি গরুর চামড়া কিনেছেন। তবে আড়তদাররা কিনেছেন ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।