কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিদ্যুৎ–জ্বালানির সংকট এবং গাছ দেখতে গিয়ে বন ভুলে যাওয়ার গল্প

প্রথম আলো আলী রীয়াজ প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২২, ১৯:০৬

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যে ভয়াবহ সংকটের সূচনা হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও বিতরণব্যবস্থা নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনায় কত টাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, কত টাকায় বিক্রি হয়—এসব নিয়ে বিতর্ক চলছে। এলএনজির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের কথা তো আছেই। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে বিদ্যুৎ–সংকট চলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিদ্যুৎ–সংকটের আলোচনার এই সব খুঁটিনাটি দিকের হিসাব অবশ্যই দরকার। কিন্ত এর বাইরে আরও কিছু প্রশ্নের আলোচনা জরুরি।


এক দশকের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ খাতে যে ভর্তুকির বন্যা বইয়ে দেওয়া হলো, তার পরিণতি কেন এমন হলো? এ প্রশ্ন উঠেছে যৌক্তিক কারণেই। এই ভর্তুকির পরিমাণ যেনতেন নয় যে তা সহজেই ভুলে যাওয়া যাবে। ২০২০ সালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে জানিয়েছিলেন, ১০ বছরে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ৫২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে (প্রথম আলো, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। এরপর দুই বছরের বেশি সময় গেছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরেই ১০ হাজার কোটি টাকা ভতুর্কির হিসাব আছে (ডিডব্লিউ, ১৯ মে ২০২২)। এ বছরের বাজেটে এ খাতে মোট ভর্তুকি ধরা হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। বছর শেষ হলে এটা যে বাড়বে, তা হলফ করেই বলা যায়।


গত ১১ বছরে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বেড়েছে ১১৬ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ। ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, খুব শিগগিরই জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে। এর মানে হচ্ছে এক দশকের বেশি সময় ধরে নাগরিকেরা অর্থ দিয়েই যাচ্ছেন। একবার তাঁদের করের টাকা যাচ্ছে ভর্তুকি হিসেবে, আরেকবার গ্রাহক হিসেবে। এখন মরার উপর খাড়ার ঘা নামতে যাচ্ছে।


জ্বালানি খাতের এই সংকট ইতিমধ্যেই বাজারের ওপর এসে পড়েছে। প্রায় এক বছর ধরেই দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি দরিদ্র ও মধ্যবিত্তদের এমন জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে, যা তাঁদের জন্যে অস্বিত্বের সংকট তৈরি করেছে। এর সঙ্গে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে সাম্প্রতিক বন্যা । সরকার দাবি করে যে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। যাঁরা বাজারে যান, তাঁরা এই হিসাব নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করতেন, কিন্ত পাছে আরও বিপদ হয়, তাই নীরব থাকেন। অর্থনীতিবিদেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও