কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সব উন্নয়ন ঈদযাত্রায় এসে মুখ থুবড়ে পড়ে কেন?

www.tbsnews.net আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২২, ১৬:২৯

শুক্রবার ভোর ৬টা। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাসা থেকে বের হই সদরঘাটের উদ্দেশে। সেখানে ওয়াটার বাস ছাড়ার নির্ধারিত সময় সকাল ৮টা। অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দুই ঘণ্টা হাতে নিয়ে বের হই। স্বাভাবিক সময়ে এই ৯-১০ কিলোমিটার পথ যেতে সিএনজি অটোরিকশায় সময় লাগে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ।


কিন্তু ভোর ৬টায় রাস্তায় নেমেই দেখা যায় পান্থপথ সিগন্যালে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছেন সিএনজি অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারের গাড়ির জন্য। পৌনে ৭টা পর্যন্ত অন্তত ২০টি সিএনজি অটোরিকশাকে অনুরোধ করেও সদরঘাটে যেতে রাজি করানো যায়নি। দ্বিগুণ ভাড়া দেয়ার কথা বললেও তারা রাজি হননি। কারণ গুলিস্তানের আগে থেকেই সদরঘাট পর্যন্ত গাড়ি এবং মানুষের চাপ। ঘাটে পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগবে, তা নিয়ে চালকরা সন্দিহান। বিকল্প রুট টিকাটুলি হয়ে সদরঘাট যাওয়া যায়। কিন্তু ওই পথেও নাকি ভোর থেকে জ্যাম। কোরবানির পশুর হাটের প্রভাবও রয়েছে।


অনেক অনুরোধ করে একজন সিএনজি চালককে রাজি করানো গেলো দ্বিগুণ ভাড়ায়। তিনি জ্যাম এড়াতে কয়েকটি সড়ক পরিবর্তন করে যাচ্ছিলেন এবং প্রত্যেটটি রাস্তায় কিছুদূর যাওয়ার পরেই দেখা যায় গাড়ি আটকে যাচ্ছে। এই করে করে তিনি যখন ঢাকা মেডিকেলের সামনে পৌঁছান, তখন পৌনে আটটা। সেখান থেকে ৮টার মধ্যে সদরঘাটে পৌঁছানো কোনোমতেই সম্ভব ছিল না। গুগল ম্যাপও দেখাচ্ছিলো, বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট পর্যন্ত পুরো রাস্তা লাল। মানে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পৌঁছানো গেলেও বাকি পথ লাগেজ ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে হেঁটে যেতে হবে। তা-ও ৮টার আগে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা বাসায় ফিরে আসি এবং চারিদিকে ফোন করে যেসব খবর পাই, তাতে আর ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগ্রহ অবশিষ্ট ছিল না। আমাদের ঈদযাত্রা মাটি। জীবনে প্রথম এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলাম। অথচ কিছুদিন আগেই পদ্মা সেতু চালু হলো। বলা হচ্ছিলো, সেতুর কারণে নৌপথে মানুষের চাপ কমবে এবং সদরঘাটে আরামে পৌঁছানো যাবে। কিন্তু সেই স্বস্তির ঈদযাত্রা অধরাই থাকলো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও