![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2022-07%252F26c58b13-d5d8-41ea-a7d7-1d15891a8add%252Fprothomalo_bangla_2022_06_d407cfb5_0996_440d_97b6_55164743d859_Gonosonghoti_New.webp%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D1.0)
লুটপাট–সহায়ক নীতিই বিদ্যুৎ–সংকটের জন্য দায়ী: গণসংহতি আন্দোলন
বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাট–সহায়ক নীতিই দেশজুড়ে বিদ্যুৎ–সংকট ও লোডশেডিংয়ের বর্তমান সংকট সৃষ্টি করেছে বলে মনে করে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
দলটির ভাষ্য, সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়কে একমাত্র কারণ হিসেবে দেখানো হলেও বাস্তবে সরকারের নীতিই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রযোজনীয় সরবরাহে দেশকে বিদেশনির্ভর করে তুলেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৩ বছর ধরে জনগণ গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে অর্থের জোগান দিয়ে এলেও স্থলভাগের গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্সকে কাজে লাগানো এবং দেশীয় মালিকানা নিশ্চিত রেখে সমুদ্রের গ্যাস উত্তোলনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে কয়লাবিদ্যুতে বিনিয়োগ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য জনগণের দাবিকেও উপেক্ষা করেছে; বরং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে কতিপয় মুনাফার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে আমদানি করা জ্বালানিকেই একমাত্র বিকল্প হিসেবে হাজির করেছে। সেক্ষেত্রেও বিশেষত এলএনজির ক্ষেত্রে সময়মতো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে না পারায় এখন খোলাবাজার থেকে বেশি দামে এলএনজি কিনতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ–ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে (প্রায় ৬০ হাজার কোটি) ভতু৴কি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্বনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের যথাযথ নীতি গ্রহণ না করা, দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের মহোৎসব এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অতিরিক্ত মুনাফা ও সরকারের বর্ধিত আয়ের জোগান দেওয়ার ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করার এই নীতি আজকের এ সংকটের জন্ম দিয়েছে।