বাস মালিকদের কারণে মুন্সীগঞ্জের ৩ উপজেলার যাত্রীদের ভোগান্তি
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাসসংকটে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের তিন উপজেলার সাধারণ বাসযাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। ঈদে এ দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্ধারিত ভাড়ার তিন গুণ ভাড়া দিয়েও অনেক সময় বাস পাচ্ছে না যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রীসংকটে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পদ্মা নদী পার হয়ে লঞ্চ ও সিবোটে করে এখন আর যাত্রী আসছে না শিমুলিয়া ঘাটে। ফলে বাস মালিকরা যাত্রীর অভাবে তাঁদের রুট পরিবর্তন করেছেন।
শিমুলিয়া ঘাটের বেশির ভাগ বাসই এখন দক্ষিণবঙ্গে চলাচল করছে। ফলে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার যাত্রীরা এখন বাসসংকটে পড়েছে। বাসের অভাবে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তার পরও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত বাস। আবার যাও-বা মিলছে তাতে ভাড়া দিতে হচ্ছে প্রায় তিন গুণ।
ঢাকার গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ী থেকে আগে শিমুলিয়া ঘাটের ভাড়া ছিল ৮০ টাকা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এখন আর শিমুলিয়া ঘাটে তেমন একটা বাস যাচ্ছে না। ফলে ওই সব বাসের যাত্রীদের বাধ্য হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গার বাসে চড়তে হচ্ছে। তারা পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে নেমে গেলেও তাদের ভাঙ্গার সমান ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা। তিন গুণ ভাড়া দিয়ে তাদের অনেক দুর্ভোগের মধ্যে মাওয়ায় পৌঁছাতে হচ্ছে। আবার মাওয়া, শ্রীনগর বা সিরাজদিখান থেকে আসা যাত্রীদের ঢাকাগামী বাসে চড়তে হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তারপর বাস পেলেও ভাড়া দিতে হচ্ছে অনেক বেশি।
লৌহজংয়ের উত্তর মেদিনীমণ্ডলের বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক ঢাকার ইসলামপুরে ব্যবসা করেন। প্রতিদিন তিনি বাড়ি থেকে ঢাকায় যান ব্যবসার কাজে। পদ্মা সেতু চালুর আগে তিনি মাওয়া চৌরাস্তা থেকে খুব সহজেই বাসে চড়ে বাবুবাজার ব্রিজে নেমে যেতেন। ভাড়া গুনতে হতো মাত্র ৮০ টাকা। এখন তাঁকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে গিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ঢাকাগামী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। বাসে সিট খালি থাকলে বাস ওঠা যায়। তবে তার জন্য অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার ভাড়াও দিতে হয় অনেক বেশি।