চলতি বছর রাজধানীতে বেড়েছে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই
# তৎপর অজ্ঞানপার্টি
# অর্ধশত গ্রুপে ছয় শতাধিক মৌসুমি অপরাধী
# ঈদের আগে সক্রিয় মলমপার্টি-ছিনতাইকারীরা
# মোটরসাইকেলে করে ছিনতাই বাড়ছে
# কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা চুরি-ছিনতাই করছে বেশি
ঈদ এলেই রাজধানীতে বাড়ে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, চুরি-ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কোরবানির ঈদের আগে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এসব চক্র। কোরবানির পশু কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা তাদের টার্গেট। এসব চক্র ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। গত কয়েক মাসেও এসব চক্রের দাপটে আতঙ্কিত ছিল রাজধানীবাসী। দিন-রাতের যে কোনো সময়ই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন তারা। এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, বড় কোনো ঘটনা না ঘটলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে না। আর সাধারণ মানুষের পুলিশ রেকর্ড (জিডি/মামলা) না করার প্রবণতাও বাড়ছে। ফলে অপরাধীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদুল আজহা সামনে রেখে দৌরাত্ম্য বেড়েছে মৌসুমি অপরাধীদেরও। কোরবানির পশুর হাটকেন্দ্রিক পেশাদার ছিনতাইকারী, চোর-ডাকাত, জালনোট চক্র এবং অজ্ঞান ও মলমপার্টির সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, শুধু রাজধানীতেই অন্তত ৫০টি গ্রুপের ছয় শতাধিক পেশাদার অপরাধী মৌসুমভিত্তিক অপরাধমূলক কাজ করছে। তারা এ ধরনের অপরাধ ঘটিয়েই ঢাকার বাইরে পালিয়ে যায়। এক গ্রুপ গা-ঢাকা দিলে আরেক গ্রুপ সক্রিয় হয়। এসব অপরাধী চক্রের হোতারা বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হলেও স্বল্পসময়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের একই অপরাধ ঘটায়। তাই একেবারে রোধ করা যাচ্ছে না ভয়ঙ্কর এসব অপরাধ। ফলে এ পেশাদার অপরাধীদের ভয়ঙ্কর নির্মমতার শিকার হচ্ছেন পথেঘাটে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের শেষ ছয় মাসের চেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বেশি হয়েছে।