আমদানি ব্যয়ের চাপে চলতি হিসাবে ঘাটতি ছাড়িয়েছে ১৭ বিলিয়ন ডলার
আমদানি ব্যয়ের চাপে বহির্বিশ্বের সঙ্গে লেনদেনে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে ঘাটতি আরও বেড়ে গেছে। গত অর্থবছরের ১১ মাসে এ ঘাটতি ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। রপ্তানি বাড়লেও আমদানির সঙ্গে পার্থক্য অনেক বেড়েছে। এ সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অন্যদিকে রেমিট্যান্স কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে চলতি হিসাবে বড় অঙ্কের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেনে ঘাটতি বেড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) চলতি হিসাবে বাংলাদেশের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭২৩ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল মাত্র ২৭৮ কোটি ডলার। এর মানে ঘাটতি বেড়েছে ৬ গুণের বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৩৯ শতাংশ বেশি। এ সময়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৪ হাজার ৪৫৮ কোটি ডলার। এর ফলে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৩ হাজার ৮২ কোটি ডলার। এ সময়ে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৯১৯ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ২৮৪ কোটি ডলার।