শিক্ষক লাঞ্ছনার নেপথ্যে কী

দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২২, ১৫:৫০

উৎপল কুমার সরকার হত্যার এক সপ্তাহ পর খুলেছে হাজী ইউনুছ আলী কলেজ। ছাত্র কর্তৃক একজন শিক্ষককে হত্যার ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মানুষ অনেক কিছু ভুলে যায় এ কথা যেমন সত্য, তেমনি সত্য হলো অনেক কিছু ভোলেও না। শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যার বেদনাবিধুর অধ্যায়ের কথা কি এ জাতি কখনো ভুলতে পারবে? যদি ভুলে যায়, তা হলে শিক্ষার প্রতি আমাদের ভক্তি-শ্রদ্ধা যে ক্রমেই তলানিতে গিয়ে ঠেকছে, সেটিই প্রমাণিত হবে। কোনো জাতির শিক্ষার হালফিল অবস্থা যদি এমন হয়, তা হলে সেটি নিয়ে বিশেষ চিন্তার কারণ আছে বৈকি। হাজী ইউনুছ আলী কলেজ কী তার এই শিক্ষকের জন্য বিশেষ কিছু করবে- যা তাকে স্মরণীয় করে রাখবে। একজন শিক্ষক কোনো প্রকার অন্যায়ের কাছে নত না হয়ে নিজে যেটি সত্য মনে করেছেন, সেটিই করেছেন। এমন শিক্ষক তো সবার জন্য অহঙ্কার বিশেষ, দেশ ও জাতির জন্য গর্ব এবং গৌরবের সম্পদ। অথচ সেই শিক্ষককেই কিনা মরতে হলো ছাত্রের হাতে স্ট্যাম্পের আঘাতে। এ ঘটনা যে পুরো শিক্ষাব্যবস্থার ওপরই আঘাত, তা স্বীকার করা না হলেও বাস্তবতা তেমনটিই বলছে।


সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা যেন মামুলি একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিমাসেই দেশের কোথাও না কোথাও অনেকটা রুটিন ওয়ার্কের মতো করে সংঘটিত হচ্ছে সবচেয়ে করুণ ও লজ্জার এই ঘটনা। সাভারের এই ঘটনার সামান্য কিছুদিন আগে নড়াইলে সংঘটিত হয়েছে শিক্ষক লাঞ্ছনার আরও একটি ঘটনা। নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজে গত ১৮ জুন সংঘটিত শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাটা পুরো শিক্ষকসমাজের জন্য বেদনার ও জাতির জন্য লজ্জার। স্বপন কুমার বিশ^াস ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার অপরাধ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে পরিষ্কার করে বোঝারও উপায় নেই। বলা হচ্ছে, কলেজটির এক হিন্দু ছাত্রের ফেসবুক পোস্ট কেন্দ্র করে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এর একপর্যায়ে ওই ছাত্র ও শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে কলেজ ভবন থেকে বের করে আনার ঘটনার কিছু ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, সংঘটিত ঘটনার ৯ দিন পর স্থানীয় পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতা ও শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করার অভিযোগে মামলা করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও