কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঈদ যেন আনন্দ আনে, ভোগান্তি নয়

জাগো নিউজ ২৪ প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২২, ১০:০৫

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুটি- ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আজহা। বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে এই দুই ঈদের দুটি নাম- একটি রোজার ঈদ আরেকটি কোরবানির ঈদ। দুই ঈদেই বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে আনন্দের বান ডাকে। একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ আসে বাঁধভাঙা আনন্দ নিয়ে। তবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের আনন্দ অন্যরকম। কারণ এই ঈদের মূল অনুষঙ্গ হলো আল্লাহর নামে পশু কোরবানি। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের প্রিয় জিনিস কোরবানির যে মহিমা, তা ঈদের আনন্দে যোগ করে নতুন মাত্রা।


তবে বাংলাদেশে ঈদ এলেই আমার ভয় লাগে। ঈদের সাথে আসে ভোগান্তি। তিন দশক ধরেই আমাদের পুরো পরিবার ঢাকাবাসী। তাই ঈদে আমাদের বাড়ি ফেরার কোনো তাড়া নেই। কিন্তু নিউজরুমে বসে ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার ভোগান্তি দেখি আর আফসোস করি, হায় নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ করার অধিকারও বুঝি আমাদের নেই। ঈদে বাড়ি ফেরার যে দুর্ভোগ, তা কিন্তু হঠাৎ করে বা এক-দুদিনের নয়। বছরের পর বছর একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি হয়। কিন্তু কারও যেন কিছু যায় আসে না।


বাংলাদেশ ছোট একটি দেশ। জনসংখ্যার চাপে ন্যুব্জ এই দেশটিকে আরও অসুস্থ মনে হয়, কারণ বাংলাদেশের সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, পড়াশোনা, প্রশাসন- সবকিছু ঢাকাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। ফলে মানুষ সুযোগের অপেক্ষায়, ভাগ্য বদলানোর আশায় ছুটে আসেন ঢাকায়। ঢাকায় বাস করে দুই কোটিরও বেশি মানুষ। আমার অফিস কারওয়ান বাজারে। মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারে যত মানুষ আসে পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যা তারচেয়ে কম। কাজের খোঁজে, ভাগ্য বদলাতে ঢাকায় ছুটে আসা মানুষের শেকড় থাকে গ্রামে, যেখানে তাদের নাড়ি পোঁতা। তাই সুযোগ পেলেই তারা ফিরে যেতে চান গ্রামে।


বিশেষ করে ঈদের আনন্দটা তারা ভাগ করে নিতে চান প্রিয়জনের সঙ্গে। কিন্তু এই আনন্দটুকু পেতে আমাদের যে লম্বা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তার দাম অনেক বেশি। গত ২-৩ দিন যারা কমলাপুরের দিকে গেছেন, তারা জানেন বাড়ি ফেরার আনন্দের মূল্য আসলে কত। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পাওয়া আর লটারির টিকিট পাওয়া সমান কথা।


মন্ত্রী জানেন, অনলাইনে সাধারণ মানুষ টিকিট পায় না। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের কোনো চেষ্টা বা উদ্যোগ নেই। অনলাইনে টিকিট পাবেন না জেনে যারা স্টেশনে ছুটে আসেন, তাদের দুঃখ চোখে দেখা যায় না। ৩০ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও টিকিট না পাওয়ার বেদনা নিয়ে যে ভাইটি ফিরে যান, তার দুঃখ বোঝার মতো মন কি আছে আমাদের রেলমন্ত্রীর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও