কেউ জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসা করেন, কেউ আবার একটি গ্রুপ অব কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক। কিন্তু এসবের আড়ালে তারা চালিয়ে আসছিলেন মাদকের রমরমা কারবার। সম্প্রতি তারা আফিমের বড় চালান এনে ঢাকায় বাজারজাত করার চেষ্টা করছিলেন। এরমধ্যেই গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
দুইজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছে পাওয়া যায় তিন কেজি আফিম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১০ বছরে আফিমের এত বড় চালান আর ধরা পড়েনি। এগুলো ওষুধের কাঁচামাল বলে আনা হয়েছিল ঢাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর পুরান পল্টন লেন ও বনশ্রী আবাসিক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এরপর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর (উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত মাদক আফিমের বড় চালান ঢাকায় আসার খবর পেয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহীনুল কবীর ক্রেতার ছদ্মবেশে অভিযান চালান।
প্রথমে পুরান পল্টন লেন (ভিআইপি রোড) থেকে দুই কেজি আফিমসহ আবুল মোতালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে বনশ্রী থেকে জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা। তাদের মধ্যে মোতালেবের বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত। আর জাহাঙ্গীরের বাড়ি জামালপুরে। তিনি একটি গ্রুপ অব কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক। তাদের কাছে পাওয়া আফিমের মধ্যে দুই কেজির চালানটি শপিং ব্যাগের ভেতর একটি প্লাস্টিকের বয়ামের মধ্যে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল। অপর চালানের এক কেজি আফিম ছিল পলিথিনে মোড়ানো। উদ্ধার আফিমের আনুমানিক দাম পৌনে তিন কোটি টাকা।