দৈনন্দিন জীবনে মাথাব্যথার সমাধান
বিশ্বের প্রায় শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় মাথাব্যথায় ভোগে। তাই এ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে জুন মাসকে মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা সচেতনতা মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রথম আলোর উদ্যোগে ও টাফনিলের সহযোগিতায় আয়োজিত হলো বিশেষ অনুষ্ঠান মাথা নিয়ে মাথাব্যথার শেষ পর্ব। এবারের প্রতিপাদ্য—‘দৈনন্দিন জীবনে মাথাব্যথা’। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক এম এস জহিরুল হক চৌধুরী ও অভিনেত্রী দীপা খন্দকার।
সঞ্চালনায় ছিলেন সুস্মিতা শ্রুতি চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি ২৮ জুন প্রথম আলো ও এসকেএফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাথাব্যথার ধরন নিয়ে আলোচনা করেন ডা.এম এস জহিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, সাধারণত মানুষের ভেতর টেনশনজনিত ও মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ ধরনের ব্যথার কিছু ট্রিগার থাকে। যেমন মানসিক চাপ, হতাশা, কাজের চাপ, পরিবেশের প্রভাব ইত্যাদি কারণে টেনশনে মাথাব্যথা বেশি হয়ে থাকে।
মাইগ্রেনের কিছু নির্দিষ্ট ট্রিগার রয়েছে। যেমন রোদ, গরম-ঠান্ডা আবহাওয়া, অতিরিক্ত ভিড়, শব্দ, আলো ইত্যাদি। এসবে যাদের সমস্যা, চিকিৎসকেরা তাদের এগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। রোদে গেলে চোখে কালো চশমা, ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়। শব্দ বা অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হয়। অন্যদিকে যাদের টেনশনে মাথাব্যথা বেশি হয়, তাদের উচিত দুশ্চিন্তা কম করা, ঠিকমতো ঘুমানো, পরিমিত আহার, হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করা।
অভিনেত্রী দীপা খন্দকার নিজের মাথাব্যথার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমার মাইগ্রেনের ব্যথা হয় না; কিন্তু অতিরিক্ত গরম, রোদ, আলো ও শব্দে সাধারণ মাথাব্যথা হয়। বিশেষ করে গরমের মৌসুমে আমার মাথাব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এ সময় শরীরের শক্তি কমে আসে। এ সময় আগে থেকে হাইড্রেট থাকার চেষ্টা করি। প্রচণ্ড গরমে শুটিং থাকলে পানি বা ডাবের পানি পান করি।’
এম এস জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মাথাব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের জন্যও হয়ে থাকে। টেনশনজনিত ও মাইগ্রেনের মাথাব্যথা হলে পানি বা পানিজাতীয় খাবার খেলে ব্যথা অনেকাংশে কমে আসে। আর কোনো অতিরিক্ত চাপ ছাড়া নিয়ম মেনে কাজকর্ম করি, তাহলে মাথাব্যথা এড়ানো সম্ভব হবে।’
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- মাথাব্যথার সমস্যা