খিজির খানসহ ১৭ জন পেলেন মার্কিন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পুরস্কার
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক মর্যাদা ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার পুরস্কারজয়ী হিসেবে ইরাক যুদ্ধে নিহত সেনার বাবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খিজির খানসহ ১৭ জনের নাম ঘোষণা করেন তিনি। এর মধ্যে তিনজন পেয়েছেন মরণোত্তর পুরস্কার। ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) হোয়াইট হাউসে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। খবর সিবিএস নিউজের।
গতকাল হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম হলো দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক মর্যাদা। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধি, মূল্যবোধ কিংবা নিরাপত্তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখেন; বিশ্ব শান্তি কিংবা অন্য তাৎপর্যপূর্ণ সামাজিক, সরকারি বা বেসরকারি প্রচেষ্টায় অবদান রাখেন তাঁদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির অধীন ‘দ্য প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পুরস্কার চালু করা হয়। এ বছরের পুরস্কারজয়ীরা হলেন—
খিজির খান
২০১৬ সালে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে খিজির খান সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেন। তাঁর ছেলে মার্কিন সেনাসদস্য হুমায়ুন খান ইরাক যুদ্ধে নিহত হন। খিজির খান সে কথা উল্লেখ করে ট্রাম্পের প্রতি উপহাস করে বলেছিলেন, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি তুলে এই রিপাবলিকান প্রার্থী একজন মার্কিন সৈনিকের আত্মত্যাগের প্রতি অপমান করেছেন। খিজির খানের বক্তব্যের জন্য তাঁর তুমুল সমালোচনা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।