হজের সময় ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়
প্রতিবছর অসংখ্য ডায়াবেটিক হজব্রত পালন করেন। অনেকে হজের সময় ডায়াবেটিসের নানা জটিলতায় আক্রান্ত হন। এসব জটিলতার মধ্যে অন্যতম হলো হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে চিনির মাত্রা কমে যাওয়া), হাইপারগ্লাইসেমিয়া (অনিয়ন্ত্রিত চিনির মাত্রা), ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস ও ডায়াবেটিসের কারণে পায়ের জটিলতা। ডায়াবেটিসের জটিলতায় মুর্ছা যাওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনাও কম নয়।
জটিলতার কারণ : হাজিদের অনেকেই ষাটোর্ধ্ব। হজের সময় তাদের খাদ্যগ্রহণ বদলে যায়। অতিরিক্ত তাপ এবং বেশি পরিশ্রমে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। একজন হাজি অনেক পথ হাঁটেন। তাওয়াফ, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান, শয়তানের প্রতি কংকর নিক্ষেপের সময় হাঁটাহাঁটি করতে হয়। এসব কারণে তৈরি হতে পারে ডায়াবেটিসের নানাবিধ জটিলতা।
হজযাত্রার আগে করণীয় : ডায়াবেটিসের পরীক্ষা ও ওষুধের সমন্বয় সাধন করা উচিত। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রাখা। ডায়াবেটিসের ওপর সাধারণ শিক্ষা গ্রহণ। যেসব ওষুধে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বেশি, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সেগুলো পরিহার করা। ইনসুলিনের ধরন প্রয়োজনবোধে বদলে ফেলা। সাধারণত দীর্ঘ সময় কাজ করে- এমন ইনসুলিন ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।