কোন শিক্ষকরা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন

দেশ রূপান্তর মামুনুর রশীদ প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ১০:২৯

কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার হামলা হলো শিক্ষকদের ওপর। মুন্সীগঞ্জের হৃদয় মন্ডলকে প্রাণে শেষ করতে পারেনি কিন্তু আশুলিয়ার উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা করতেও শিক্ষার্থীর হাতটি কাঁপেনি। উৎপল কুমার শুধু ভালো শিক্ষক ছিলেন না, তিনি শিক্ষায় শৃঙ্খলা আনতে চেয়েছিলেন। নড়াইলের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। শিক্ষকদের এই লাঞ্ছনা ও হত্যায় যে শুধু ছাত্ররাই জড়িত তা নয়। বোঝা যায় কিছু শিক্ষক, এলাকার ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং অভিভাবকদের একটি অংশও জড়িত থাকতে পারে।


কারণ অনেক, যার মধ্যে আক্রান্ত শিক্ষকদের প্রতি বাকিদের ঈর্ষা এবং কোচিং-বাণিজ্যের সংকটও ধরা পড়ে। ব্যবস্থাপনা কমিটি স্কুলে শৃঙ্খলা চায় না, শিক্ষক নিয়োগে তারা অনিয়ম করতে অভ্যস্ত। লাখ লাখ টাকা ছাড়া শিক্ষক তো দূরের কথা একটা দপ্তরির চাকরিও হয় না। দেশের সর্বব্যাপী দুর্নীতির মধ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। এই সম্প্রসারণের দিগন্ত মন্ত্রণালয় পর্যন্ত বিস্তৃত। তার ওপর রয়েছে এলাকার প্রভাবশালী একটি অংশের অন্তর্দ্বন্দ্ব।


যে তিনজন শিক্ষক আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। গত পঞ্চাশ বছরে দেশের ঘাপটি মারা সাম্প্রদায়িক শক্তির পরোক্ষ ইন্ধন এখানে থাকতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। যে শিক্ষকদের হত্যা ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে তারা প্রথমত ভালো শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান করেন এবং ছাত্রদের শিষ্টাচার সম্পর্কে সচেতন এটাই আজ দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। কোথাও যোগ্য লোকদের মূল্যায়ন নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও