২০২১ সালে জ্বালানির বৈশ্বিক ব্যবহার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর মহামারীর ধাক্কা সামলে বিশ্বের সিংহভাগ অর্থনীতিই ঘুরে দাঁড়ায়। গতিশীল হয় শিল্প ও উৎপাদন খাত। ফলে মহামারীর আগের চেয়ে বেশি জ্বালানি ব্যবহার হয় ওই বছর। চলতি বছরও জ্বালানির ব্যবহার ঊর্ধ্বমুখী। ব্রিটিশ জ্বালানি তেল ও গ্যাস কোম্পানি বিপি সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো। লক্ষ্য অর্জনে দেশগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে তার উল্টো। বেশির ভাগ দেশেই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমার পরিবর্তে বেড়েছে।
২০২১ স্ট্যাটিসটিক্যাল রিভিউ অব ওয়ার্ল্ড এনার্জি শীর্ষক প্রতিবেদনে বিপি জানায়, গত বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ছিল দৈনিক ৩৭ লাখ ব্যারেল। অর্থাৎ মহামারীর আগের বছরের তুলনায় পণ্যটির চাহিদা কম ছিল। এক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে দুর্বল এভিয়েশন খাত। ২০২১ সালে এভিয়েশন খাতে জ্বালানি তেলের চাহিদা মহামারীর আগের বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ কম ছিল।