কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মূল্যস্ফীতির তাপ কমাতে বাজেট ঘাটতি সংযত পর্যায়ে রাখা উচিত ছিল

বণিক বার্তা ড. জাহিদ হোসেন প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ০৯:৪৫

ড. জাহিদ হোসেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অন ইস্ট সেন্ট্রাল ইউরোপের স্টাফ অ্যাসোসিয়েট, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ও ফ্রেমিংহ্যাম স্টেট কলেজের লেকচারার হিসেবে পাঠদান করেছেন। প্রস্তাবিত বাজেটের নানা দিক নিয়ে তিনি বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন।


সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা


গত দুই বছর ছিল কভিডের সময়কাল। সে সময়ে সবাই বাজেটে কভিড মোকাবেলাকে প্রাধান্য দিতে বলেছিলেন। এখন চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়ন। বাজেটে বিষয়গুলো কতটা আমলে নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন?


মূল্যস্ফীতি সমস্যার স্বীকৃতি বাজেট বক্তৃতায় আছে। মূলত এটাকে ১ নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডলার সংকট ঠিক ওই ধরনের গুরুত্ব পায়নি বাজেট বক্তৃতায়। এখন আমি স্বীকৃতি দিলাম কিন্তু ব্যবস্থাটা কী নিলাম, সেটাই হলো বড় প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে দুটো দিক রয়েছে। আমি প্রথমে মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে বলি। মূল্যস্ফীতির জন্য দুই ধরনের পদক্ষেপ বাজেটে আছে। একটা ইতিবাচক আরেকটা নেতিবাচক। ইতিবাচক হলো, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি যে পরিমাণে আছে তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আমাদের মতো অন্যান্য দেশ ভারত, পাকিস্তান বা ইস্ট এশিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে ঠিক মাঝামাঝি পড়ে। মানে মূল্যস্ফীতি ঠিক বেশিও না, একেবারে কমও না। আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতির সংক্রমণ যেসব পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে পড়ে, মোটাদাগে সেগুলো হলো জ্বালানি ও সার। সরকার নভেম্বরে ডিজেলের দাম সমন্বয় করেছিল। তখন জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৮৫ ডলার প্রতি ব্যারেল। সেটি এখন ১১০ থেকে ১২০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে। এর পরে দাম সমন্বয় করা হয়নি। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার এখন পর্যন্ত কিছু করেনি। এতদিন ভর্তুকি দিয়েই সামাল দিয়েছে। প্রাক্কলিত বাজেটে ভর্তুকি বাবদ যত অর্থ ধরা হয়েছিল, সংশোধিত বাজেটে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকিতে বড় ধরনের বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে যেটা মনে হচ্ছে যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রভাব অভ্যন্তরীণ বাজারে যেন সংক্রমিত না হয়, সেজন্য যে প্রস্তাবগুলো এসেছে সেগুলো পুরোপুরি গ্রহণ করা হবে না; নইলে ভর্তুকি এত বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। সেদিক থেকে এটি ইতিবাচক। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সারের দাম যদি বেড়ে যায়, তবে তা অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে। কারণ এগুলো ছোঁয়াচে বেশি। আইফোনের দাম বাড়লে এটা অতটা ছোঁয়াচে নয়। এটা পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিতে কোনো অবদান রাখে না। কিন্তু জ্বালানির দাম বাড়লে এটা পরিবহন খাত, শিল্প খাত, সেবা খাত, কৃষি খাত প্রভৃতির ওপর প্রভাব ফেলে। সেদিক থেকে আমি বলছি বাজেট ইতিবাচক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও