কালিয়াকৈরে কোরবানির হাটে উঠবে ১৫ মণ উজনের ‘মহারাজ’
চোখ ধাঁধানো কালো রঙের হৃষ্টপুষ্ট একটি গরু। নাম মহারাজ। জন্মের পর থেকেই রাখা হয়েছিল ঘরের ভেতর। দেখতে বিশাল আকৃতির হলেও মায়াবী দৃষ্টি আর অনেকটাই শান্ত প্রকৃতির এই গরুটি। মহারাজ লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতায় ছয় ফুট, উজনে প্রায় ১৫ মণ। গরুটি আসন্ন কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গরুটির দেখা মিলেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের আষাড়িয়াবাড়ী গ্রামের কৃষক সবুজ আহম্মেদের ছোট্ট খামারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের আষাড়িয়াবাড়ী গ্রামে ছোট্ট একটি পারিবারিক খামারে পরম যত্নে লালন পালন করেছে সবুজ আহম্মেদ ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগম। ব্রাহামা জাতের এই গরুটি জন্মের পর থেকেই ঘরের ভেতর রাখা হয়েছে। মহারাজের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন থাকে গমের ভুষি, ধানের কুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড়, কাঁচা ঘাস ও বিভিন্ন জাতের ফল। তবে গরু মোটাতাজা করণে কোন ওষুধ বা ভেজালজাত খাদ্য ব্যবহার হয়নি বলে জানান গরুর মালিক সবুজ আহম্মেদ।
এভাবেই দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে লালন পালনের পর এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। আর তাই ঘরের দরজা ভেঙে মাঝে-মাঝে বাহিরে বের করা হচ্ছে মহারাজকে। মহারাজ নামের এই গরুটির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই আশপাশের এলাকা ও দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছে দেখতে। এর মধ্যে অনেকেই গরুটি কিনতে ইচ্ছে পোষণ করছেন। গরুটির মালিক সবুজ আহম্মেদ গরুটির দাম জানিয়েছেন সাড়ে চার লাখ টাকা।