এই লক্ষণেই বুঝতে হবে হার্টে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ! সতর্ক করলেন চিকিৎসক
হার্টের সমস্যা নিয়ে মানুষের মাথা ব্যথার শেষ নেই। কারণ এই রোগ মানুষকে অনেক সময়ই বড়সড় সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে। মানুষ বুঝতেও পারছেন না ঠিক কেন সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই অসুখটিকে নিয়ে তৈরি হয়ে যেতে হবে।
আসলে একটি হার্টের রোগী সকালে ভালো তো রাতে হয়ে যাচ্ছেন খারাপ। এমনকী প্রাণহানীর সমস্যাও কিন্তু অনেকটাই বাড়ছে। তাই এই রোগটি নিয়ে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করে ফেলা হয়ে যায় সম্ভব। নইলে সমস্যা ভিতর ভিতরে বাড়তে থাকলেও আপনি বুঝে উঠতে পারবেন না।
এই প্রসঙ্গে রুবি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: আশিস মিত্র বলেন, হ্যাঁ, এক্ষেত্রে অনেক সমস্যাই দেখা দেওয়া সম্ভব। আসলে আগে বেশি বয়সে এই রোগ দেখা যেত। তবে এখন অনেক কম বয়সেই মানুষ হার্টের রোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এই রোগ নিয়ে মানুষকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে এখন পুরুষের ক্ষেত্রে ৪০-এর নীচে এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৫-এর নীচেও হার্টের সমস্যা হচ্ছে। এবার প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। অন্যথায় সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
তিনি আরও বলেন, আসলে মুশকিলের বিষয় হল, মানুষ এই রোগের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষণ বুঝে উঠতে পারেন না।
কী কী সমস্যা দেখা যায়?
ডা: মিত্রের কথায়, আমরা সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ (Ischemic Heart Disease) দেখি। আসলে আমাদের সারা দেহের যেমন রক্তে প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনই হার্টেরও কাজ করার জন্য রক্ত লাগে। এবার হার্টে রক্তে পৌঁছে দেওয়া ধমনির মধ্যে কোনও কারণে ব্লক তৈরি হলে সমস্যা হয়। এই অবস্থার নাম ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ। এক্ষেত্রে এই রোগ ফেলে রাখলে তারপর হতে পারে হার্ট অ্যাটাক (Heart Disease)। ফলে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
কী কী লক্ষণ থাকে?
এক্ষেত্রে এই কয়েকটি লক্ষণ (Heart Disease Symptoms) দেখা যায় বলে জানালেন ডা: মিত্র-
১. বুকে ব্যথা হয়। এক্ষেত্রে ব্যথাটা পিঠ হয়ে হাতের দিকে যেতে পারে,
২. শ্বাসকষ্ট হয়,
৩. বুক ধড়ফড় করে,
৪. এছাড়া অনেকসময় পেটের উপরের দিকে ব্যথা হয়। তাই মানুষ একে অ্যাসিডিটি ভেবেও ভুল করে থাকেন। এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।