কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘শিক্ষা হত্যা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই নিহত হন’

ডেইলি স্টার শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২২, ১৫:০৭

'শিক্ষা হত্যা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই নিহত হন। কেউ মরে, কেউ মেরে।' আমার শিক্ষিকা অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীনের এই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লাইনটি সারাদিন ধরে মনে গেঁথে আছে। সত্যিইতো আমরা নানাভাবে শিক্ষাকেই হত্যা করছি, টুঁটি চিপে ধরছি, প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছি। তাতে করে একদিকে যেমন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন দুর্বলতর হচ্ছে, অন্যদিকে শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।


আশুলিয়ার ঘটনাটা ভীষণ ভয়াবহ। একজন শিক্ষককে যখন দশম শ্রেণির ছাত্র প্রকাশ্যে ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে ফেলতে পারে, তখন বুঝতে হবে কিশোরদের মনোজগত নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। নিহত শিক্ষক উৎপল গত ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।


অন্যদিকে একজন শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দেওয়া মানে সমগ্র শিক্ষক সমাজের গলায় জুতার মালা পরানোর লজ্জা। একজন শিক্ষককে যখন ছাত্রদের তৈরি মিথ্যা অজুহাতে কারাগারে যেতে হয়, তখন বুঝতে হবে যেকোনো সময়, যেকোনো শিক্ষকের হাতকড়া পরতে হতে পারে। যেকোনো দুর্বিনীত ছাত্র বা ছাত্রী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনতে পারে।


নড়াইল মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেছেন, একজন শিক্ষক হিসেবে লজ্জায় তার মাথা নুয়ে আসছে। ৩০ বছর ধরে এই কলেজে শিক্ষকতা করছেন। হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দান করেছেন। কিন্তু এরপরেও তাকে হেনস্থা হতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, 'পুলিশ আমাকে কলেজ কক্ষ থেকে বের করে আনে। তখন দুই পাশে অনেক পুলিশ ছিল। এরমধ্যেই স্থানীয়রা আমাকে পুলিশের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দিল। আমার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এখন এই মুখ নিয়ে কি করে আমি কলেজে যাব?'- দোষীদের কোনো শাস্তি হয়নি ঠিকই কিন্তু ঘটনার পর থেকে শিক্ষক স্বপন কুমার পালিয়ে আছেন।


ঘটনাগুলো খুব দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও আশঙ্কার। একটা পরিবার যতই ধনী হোক না কেন, যতই প্রাচুর্য থাকুক না কেন, সেই পরিবারের সন্তান বা অন্য সদস্যরা যদি অশিক্ষিত, অসভ্য, চরিত্রহীন ও লম্পট হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সেই পরিবার আসলে শূন্য, গৌরব করার মতো তাদের কিচ্ছু নেই। অভিভাবকও দায়িত্বপালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ঠিক তেমনি একটা দেশ কতটা সভ্য সেটা কখনোই অর্থনীতি বা টাকার হিসাবের ওপর নির্ভর করে না, করে তার মানবিক মূল্যবোধের ওপর, ন্যায়সঙ্গত বিচার ব্যবস্থার ওপর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও