গাড়ি আমদানিতে চট্টগ্রামকে পেছনে ফেলল মোংলা বন্দর
গাড়ি আমদানিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে প্রথমবারের মতো পেছনে ফেলেছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা। তুলনামূলক কম খরচে আমদানি ও গাড়ি রাখার সুবিধার কারণে গাড়ি আমদানিতে মোংলা বন্দর ব্যবহারের আগ্রহ বেড়েছে আমদানিকারকদের। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে মোংলা বন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৮০৮টি গাড়ি। চলতি অর্থবছর শেষ হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি অর্থবছরে সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে মোট গাড়ি আমদানি হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৮৩টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসেছে ১৩ হাজার ৯৭৫টি। বাকি ২০ হাজার ৮০৮টি গাড়ি এসেছে মোংলা বন্দর দিয়ে। সেই হিসাবে আমদানি করা গাড়ির ৬০ ভাগই এসেছে মোংলা বন্দর দিয়ে।
মোংলা বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ জানায়, ২০০৯ সালের ৩ জুন মোংলা বন্দর ব্যবহার করে প্রথম জাপান থেকে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করে ঢাকার হক’স বে অটোমোবাইলস। এরপর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও গাড়ি আমদানির জন্য এ বন্দর বেছে নেয়। তাতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে মোংলা দিয়ে আসে ৩ হাজার ১১৯টি গাড়ি। ২০১০-১১ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ তিন গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৯২৫টিতে। আর গত ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৬৯৫টি, ১২ হাজার ২৯৩টি ও ১৪ হাজার ৪৭৪টি গাড়ি। এরপর চলতি অর্থবছরেরই সর্বোচ্চ সংখ্যক গাড়ি আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।
মোংলা বন্দর দিয়ে বেশি গাড়ি আমদানির কারণ হিসেবে আমদানিকারকেরা বলছেন, আমদানির পর চট্টগ্রাম বন্দরে যে ভাড়ায় দুই দিন গাড়ি রাখা যায়, একই ভাড়ায় মোংলা বন্দরে রাখা যায় ৬ থেকে ৭ দিন। এ কারণে আমদানিকারকেরা মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানিতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
জানতে চাইলে গাড়ি আমদানিকারকের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সভাপতি ও হক’স বে অটোমোবাইলসের মালিক আবদুল হক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে গাড়ি রাখার ভাড়া বেশি। তাই বাড়তি ভাড়া এড়াতে ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দরকে বেছে নিচ্ছেন।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- গাড়ি আমদানি