সঙ্গীর সঙ্গে ঘুমের রুটিন না মিললে
যে কোনো যুগল একসঙ্গে থাকলেও কাজের কারণে দুজনের ঘুমের সময় আলাদা হতে পারে।
যিনি রাতে কাজ করেন তাকে ঘুমাতে হবে দিনে। এই রুটিনে চলতে গিয়ে নিজের ঘুমের সমস্যা তো হবেই, পাশাপাশি ভুগতে হয় জীবনসঙ্গীকেও।
আবার এমনও হতে পারে কোনো বাহ্যিক কারণ নয়, অভ্যাসের কারণেই একজন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন আর আরেকজন গভীর রাতে ঘুমাতে যান।
এই দুজন মানুষ যদি একই বিছানায় ঘুমায় তবে যিনি আগে ঘুমাচ্ছেন তার ঘুমের সমস্যা হবেই।
দুজনের মধ্যে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্লিপ প্র্যাকটিস’য়ের প্রতিষ্ঠাতা, ‘ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন স্পেশালিস্ট’ হলি মিলিং বলেন, “নিজেদের ভালোমন্দ বিষয়গুলো নিয়ে পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করার অভ্যাসটা একটা সম্পর্কের সব ধরনের সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি হতে পারে। নিজের মনের কথা একে অপরকে খোলামনে বলতে পারার পরিবেশ থাকাটা তাই খুবই জরুরি।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “একজনের ঘুমের অভ্যাসের কারণে অন্যজনের ঘুমের যদি সমস্যা হয় তবে সেটাও হবে আলোচনার বিষয়। ভাবতে হবে সপ্তাহে কয়েকদিন হলেও আলাদা ঘুমানো দুজনের নির্ভেজাল ঘুমের জন্য ভালো হবে কি-না। যে দম্পতি একই বিছানায় শান্তিতে ঘুমায় তাদের মধ্যে আবেগ ও ভালোবাসার বন্ধন খুব দৃঢ় হয়। তবে এক সঙ্গী যদি অপর সঙ্গীর ঘুম নষ্ট করে তবে একসঙ্গে ঘুমানো হতে পারে সম্পর্কে ফাঁটল ধরার কারণ।”