আমাদের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব

যুগান্তর সালাহ উদ্দিন মাহমুদ প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২২, ১৬:৫২

মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) খাতের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২৭ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে। প্রতিবছর এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যাপন করা হয়। বাংলাদেশের এসএমই খাত উন্নয়নের শীর্ষ সংগঠন হিসাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহায়তায় প্রতিবছর এ দিবস উদ্যাপন হয়ে থাকে। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় ২৭ জুন ২০২২ তারিখেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস ২০২২’ উদ্যাপন করা হচ্ছে। ‘আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস’-এর কোনো ঐতিহাসিক গুরুত্ব না থাকলেও এ দিবসের অর্থনৈতিক তাৎপর্য অনেক। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও টেকসই শিল্পায়নের জন্য ‘আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান (এমএসএমই) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। স্বল্প পুঁজিতে, স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের অনন্য প্রতিষ্ঠান হলো এমএসএমই।


বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ৩৭.০৭ শতাংশ, যেখানে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ২৮ শতাংশ। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসাবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমএসএমই একটি শ্রমনিবিড় ও স্বল্প পুঁজিনির্ভর খাত। উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এমএসএমই অবদান অনেক। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও এমএসএমই খাতের বিকাশ ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে এসএমই অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে দেশে কুটিরশিল্পসহ প্রায় ৭৮ লাখ মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে। এসএমই খাতে প্রায় ২.১ কোটি জনবল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছে। এ খাতের বিকাশের মাধ্যমে ত্বরান্বিত হবে ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গঠন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও