বন্যায় বিপর্যস্ত ২৫ লাখ মানুষ
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুই জেলার অধিকাংশ এলাকা এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। তবে শহরাঞ্চলের দিকে পানি নামতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেকে। কিন্তু বন্যার পানিতে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বেশির ভাগ মানুষ। নিম্ন আয়ের মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ এলাকার পানি এখনো নামেনি। তাই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র এখনো তুলে আনা যায়নি। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার আগে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না। তাই এ জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় দুই জেলার ৫ লাখ ৬ হাজার ৮১৯টি পরিবারের ২৫ লাখ মানুষ এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যায় সিলেটের ৪ লাখ ১৬ হাজার ৮১৯টি পরিবারের ২১ লাখ ৮৭ হাজার ২৩২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতির মুখে পড়েছে ২২ হাজার ৪৫০টি ঘরবাড়ি। তবে এটা প্রাথমিক হিসাব। কারণ সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৬টির মানুষ এখনো পানিবন্দী। বাকি উপজেলাগুলোর বেশির ভাগ এলাকা এখনো পানির নিচে। পানি কমলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ঘরবাড়ি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।