আফগানিস্তানে ভূমিকম্প পাকতিয়ায় এবার ডায়রিয়া
আফগানিস্তানে বুধবারের ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ঘুমিয়ে থাকা সহস্রাধিক মানুষ। শুক্রবার আফটারশকে মারা গেছেন আরও পাঁচজন।
যারা প্রাণে বেঁচেছেন-তারা নতুন করে বাঁচার লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। কারণ, তাদের কাছে খাবার নেই, চিকিৎসা নেই। এমনকি থাকার মতো কোনো আশ্রয়ও নেই।
গৃহহীন হয়েছে হাজার মানুষ। শুধু তাই নয়, দুর্যোগ পরবর্তী প্রবল বর্ষণে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিপদাপন্ন মানুষগুলো।
মৃতদেহ দাফনেরও জায়গা খুঁজে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। দূষিত পানি আর লাশপচা দুর্গন্ধে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে পাকতিকায়। শনিবার পর্যন্ত পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। তোলো নিউজ, এএফপি।
খোস্ত ও পাকতিকার ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহতদের স্বাস্থ্যের খারাপ অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোও।। এক বিবৃতিতে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ভূমিকম্পে আক্রান্ত হওয়া এক লাখ ১৮ হাজারের বেশি শিশুর জন্য গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিশু এখন সম্ভবত বিশুদ্ধ পানীয়জল, খাবার এবং ঘুমের নিরাপদ জায়গা ছাড়াই রয়েছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় (ইউএনওসিএইচএ) বিষয়ক কার্যালয় শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আশঙ্কা ছিল খাবার পানির অভাবে কলেরা ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে গেল ডায়রিয়া। সারা দেশে ইতোমধ্যেই তীব্র পানিবাহিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত পাঁচ লাখ রোগী নিশ্চিত করা হয়েছে। এ প্রাদুর্ভাব এড়াতে চেষ্টা করছে ইউএনওসিএইচএ।’
আফগানিস্তানের পাকিস্তান সীমান্ত এলাকার দুর্গম পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশে সংঘটিত ভূমিকম্পের পর বেঁচে যাওয়া লোকগুলোর কাছে খাবারের সংকটটাই এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে। থাকার জন্য নেই কোনো কম্বল কিংবা ছিটেফোঁটা তাঁবুও।