বন্যায় গৃহহীন ১০ হাজার পরিবার

সমকাল সুনামগঞ্জ প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২, ১২:২৩

বন্যার পানি নেমেছে। তবে বহু কষ্টে তৈরি বসতঘরটি আর নেই, ঢলের পানি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সুনামগঞ্জে অন্তত ১০ হাজার পরিবার এ সংকটে পড়েছে। এসব পরিবার এখন আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। তাই বন্যা শেষ হলেও সর্বস্ব হারানো এসব মানুষ কবে নিজ ভিটায় উঠতে পারবেন, তা একেবারেই অনিশ্চিত।


সুনামগঞ্জ শহরতলির কোরবান নগর ইউনিয়নের হাছনবাহার গ্রামের দরিদ্র মকদ্দুছ মিয়ার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। গত ১৬ জুন গভীর রাতে বসতঘরে গলাসমান পানি হলে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে নৌকায় করে কয়েক কিলোমিটার দূরের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে আশ্রয় নেন। পানি কমে যাওয়ার পর গতকাল শনিবার নৌকায় বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে নিয়ে তাঁর মাথায় হাত। ঢলের পানি তাঁর ঘরের সবক'টি টিনের বেড়া ভেঙেছে, ঘরটিও হেলে পড়েছে। ঘরটি ঠিক করার মতো কোনো অর্থ নেই তাঁর হাতে। এই অবস্থায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোথায় উঠবেন, এই দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছেন তিনি।


এই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মানিক মিয়া, সাজিদুর, আব্দুল খালিক ও খালিক মিয়ারও একই অবস্থা। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার কোনো উপায় নেই তাঁদের। গ্রামের বাসিন্দা নূর আহমদ বললেন, গ্রামে ৭০০ পরিবারের বাস। বন্যায় ক্ষতি হয়েছে সবারই। একটি বাড়ি ছাড়া সবার বাড়িতে গলাসমান পানি ছিল। তবে পাঁচ পরিবারের ঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।


সংশ্নিষ্টরা জানান, জেলার ২৮৮৭টি গ্রামের মধ্যে দুই হাজারটিরই এ রকম অবস্থা। প্রাথমিক হিসাবে এবারের বন্যায় জেলার প্রায় ১৫ হাজার পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।


সুনামগঞ্জ পৌরসভার কেজাউড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত দাস জানান, এনজিওর ঋণ এবং কয়েক বছরের পরিশ্রমের আয় দিয়ে সামান্য কিছু জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন, বন্যায় ঘরটির কোনো অস্তিত্বই এখন নেই। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে আশ্রয় নেওয়া পশ্চিম সুলতানপুরের হাজেরা খাতুন বললেন, তাঁর ঘর দেবে গেছে, ভেসে গেছে দরজা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও