You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আপনার বিবেক বলবে ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

১৯৮০ সালের কথা স্মরণ করি। দৌলতদিয়া ঘাটে বাস, ট্রাক আর ব্যক্তিগত গাড়ির সারি। অপেক্ষমাণ ফেরির জন্য। দূরে ফেরি দেখা যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ, অবশ্যই এখনকার তুলনায় কম। ঘাট অনেক দূরে। অনেকটা পথ বালিময়, তার ভেতর দিয়ে গিয়ে গাড়িগুলো ফেরিতে ওঠে। কেউ কেউ লঞ্চেও পার হয়, তাদের আরও কষ্ট। বাক্সপেটরা,সন্তান-সন্ততি নিয়ে তারা গিয়ে লঞ্চে ওঠেন। বর্ষাকাল হলেও পদ্মায় দাঁড়ানো লঞ্চে উঠতে অনেক ঝক্কি। আর শীত গ্রীষ্মে তো কথাই নেই। ফেরি এসে লাগছে ঘাটে, আরিচা থেকে আসা গাড়িগুলো নামার আগেই দৌলতদিয়া পাড়ের দাঁড়ানো গাড়িগুলো প্রতিযোগিতা শুরু করে কার আগে কে উঠবে। সে এক দেখার মতো বিশৃঙ্খলা। এরমধ্যে সরকারি কিংবা ক্ষমতাবান কারও গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই, মৃত্যু পথযাত্রী রোগীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স হোক কিংবা যত জরুরি কাজেই কেউ আসুন না কেন, তাদের আগে ফেরিতে উঠতে দিতে হবে।

দায়িত্বরত পুলিশ আছেন ঠিকই কিন্তু তাদের ক্ষমতার দৌড় কতই বা। এরকমই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় যখন ফেরিতে ওঠার জন্য গাড়িগুলো বিকট চেষ্টা করছে, তখন আমাদের সামনে দাঁড়ানো একটি ট্রাক তার সামনের একটি বাসকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটি সরাসরি পদ্মার পানিতে গিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কান্নার রোল ওঠে, শুরু হয়ে যায় চরম অরাজক পরিস্থিতি। যদিও নিয়ম হচ্ছে ফেরিতে ওঠার আগে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ানো কিন্তু কতজন শোনে সে কথা। গাড়িতে কতজন ছিল সে হিসাব জানা বা বোঝার বয়স আমার হয়নি তখনও। আমি দেখলাম চোখের সামনে প্রবল স্রোতের পদ্মার ভেতর বাসটি যেন মিলিয়ে গেলো। অনেকটা দূরে গিয়ে কিছু কিছু লোক ভেসে উঠতে লাগলো। শিশুমনে সেই দৃশ্য বহু দিন আমাকে তাড়িয়ে ফিরেছে। খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি কতজন মানুষ মারা গেলো, কিন্তু সে খবর আমি পরেও জোগাড় করতে পারিনি। দুঃস্বপ্নের মতো সে দৃশ্য আমি মনের মধ্যে বয়ে বেড়াচ্ছি আজও।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন