কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সিলেটের ৬ উপজেলায় নতুন গ্রাম প্লাবিত

‘ঘরে-দোয়ারে, উন্দালে পানি। রাইন্দা খাওন যায় না। আইজ সাত দিন ধরি এই অবস্থা। আমরা ওখন বড় সমস্যার মাঝে আছি।’ গতকাল শুক্রবার এভাবেই নিজেদের পরিস্থিতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পানিবন্দী সুলতানপুরের রাবিয়া বেগম। এ সময় পাশে থাকা শেফালি বেগমও বলে ওঠেন, ‘আমরার ইকানো আইজ ৮-১০ দিন ধরি পানি। আমার জামাই প্রতিবন্ধী। ছেলেসন্তানও নাই। কুব (খুব) অসহায়ের মাঝে আছি। রান্নাবান্নাও করতে পারি না। কেউ কোনো সাহায্য দেয় না।’

শুধু বালাগঞ্জের রাবিয়া আর শেফালি নয়, বন্যার কারণে এমন পরিস্থিতির শিকার সিলেটের কুশিয়ারাতীরবর্তী ছয় উপজেলার মানুষ। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সবই পানির নিচে। অনেকেই সড়কের শুকনা অংশে আশ্রয় নিয়েছে। সড়কের একদিকে মানুষ, অন্যদিকে গবাদিপশু থাকছে।

সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে। ফলে এখনো দুই জেলার বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত অবস্থায় আছে। প্রায় ৯ দিন ধরে পানিবন্দী থাকায় দুর্ভোগ বেড়েই চলছে বানভাসিদের। অন্যদিকে কুশিয়ারা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। নদীটিতে পানি বাড়ায় জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আখলিছ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে তিন দিন আগেও পানি ছিল না, কিন্তু এখন পানি বাড়ছে। বাজারে পানি ঢুকে অনেক দোকান তলিয়ে গেছে।’

ওসমানীনগরের সাদিপুর গ্রামের রহমত আলী বলেন, ‘ছয় দিন ধরে পানি বাড়তেছে। সবকিছু এখন পানির নিচে। আমরা খুব সমস্যায় আছি। খাওয়াদাওয়া বন্ধ।’

গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ এলাকার হারিছ আলী বলেন, ‘উপজেলার সর্বত্রই এখন পানির নিচে। নেই ত্রাণসহায়তা। আমরা খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।’

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে এবং কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শাহিদুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। আশা করি পানি আর বাড়বে না।’

১৫ জুন থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। দুদিন পর থেকে তা ভয়ংকর রূপ নেয়। প্লাবিত হয় সিলেটের ৮০ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা। বন্যার কারণে ১৭ মে থেকে এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৪৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন