‘নিষিদ্ধ’ বার্তার উৎস শনাক্ত করে দেওয়ার বিধান থাকছে
ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যে প্রবিধানমালার খসড়া করেছিল, সেখানে কিছু সংশোধন করা হয়েছে। নতুন খসড়ায় ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কিছু বিষয়ে শিথিলতা আনা হয়েছে। অবশ্য কিছু বিধান নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত নতুন খসড়ায়ও রয়ে গেছে।
যেমন বিটিআরসির প্রবিধানের আগের খসড়ায় বলা হয়েছিল, বিধি লঙ্ঘনকারী কোনো বার্তা আদান-প্রদান করলে আদালত ও বিটিআরসির নির্দেশ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট বার্তা প্রথম যিনি দিয়েছিলেন, তাঁকে শনাক্ত করে দিতে হবে। প্রথম ব্যক্তি যদি দেশের বাইরে অবস্থান করেন, তবে দেশে যিনি অবস্থান করবেন, তিনি ‘প্রথম’ বলে গণ্য হবেন।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, এটা প্রবিধানে পরিণত হলে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির গোপনীয়তা বলে কিছু থাকবে না।
বিটিআরসি আদালতের নির্দেশে ‘বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন ফর ডিজিটাল অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মস, ২০২১’ শিরোনামে প্রবিধানমালার খসড়া তৈরি করে অংশীজনদের মতামত নিতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এরপর খসড়া প্রবিধানমালার কিছু বিধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন তাদের উদ্বেগের কথা জানায়।