বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দরপতন অব্যাহত

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২, ০৮:৩০

বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের টানা দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এর পরও দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কোরবানির ঈদ এগিয়ে এলেও এখনো আগের বর্ধিত দামেই ভোজ্যতেল কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিকারকরা দাম কমালেও সরকারের বেঁধে দেয়া দামের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে তার কোনো সুফল মিলছে না।


টনপ্রতি কয়েকশ ডলার কমার পর ১৭ জুন বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত পাম অয়েলের মূল্য দাঁড়ায় ১ হাজার ৩১৯ ডলারে। সর্বশেষ গতকাল তা আরো কমে ১ হাজার ২৭১ ডলারে নেমে আসে। সে হিসেবে পাঁচদিনে পণ্যটির দাম কমেছে টনপ্রতি ৪৮ ডলার। অন্যদিকে ১৭ জুন সয়াবিনের দাম ছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৬৩০ ডলার। গতকাল তা নেমে আসে ১ হাজার ৬১৭ ডলারে। পাঁচদিনে পণ্যটির দাম কমেছে টনপ্রতি ১৩ ডলার। বিশ্বের প্রধান ফিউচার মার্কেটগুলোর বাজার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামনের দিনগুলোয়ও এ দরপতন অব্যাহত থাকবে।


দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারি দর নির্ধারণের পর পাম অয়েলের মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) দাম প্রায় এক সপ্তাহে ৬ হাজার ২০০ থেকে ৬ হাজার ৩০০ টাকায় লেনদেন হয়েছিল। তবে বিশ্ববাজারে টানা দরপতনের ফলে গত এক সপ্তাহে দাম কমে পাম অয়েলের সরবরাহ আদেশ (এসও) লেনদেন হয়েছে মণপ্রতি ৫ হাজার ৭৬০ টাকায়। যদিও মিলগেট থেকে সরাসরি উত্তোলনযোগ্য অবস্থায় তা কেনাবেচা হচ্ছে মণপ্রতি ৬ হাজার ২০০ থেকে ৬ হাজার ২৫০ টাকায়। পাইকারি ও মিলপর্যায়ে সয়াবিন তেলের দামেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সরকারি দাম নির্ধারণের আগে খাতুনগঞ্জে এসওর ভিত্তিতে সয়াবিন তেল বিক্রি হতো মণপ্রতি সাড়ে ৭ হাজার টাকায়। মিলগেট থেকে তা সংগ্রহ করা যেত মণপ্রতি ৭ হাজার ৭০০ টাকায়। বর্তমানে দাম কমে এসওর ভিত্তিতে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৭ হাজার ১০০ থেকে ৭ হাজার ২০০ টাকায়। মিলগেট পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ টাকায়। যদিও খুচরায় বোতলজাত পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও