ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি, ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই
দেড় সপ্তাহ ধরে বাড়ি-ঘরে পানি, নলকূপ-পায়খানা তলিয়ে গেছে, প্রায় সারাদিন ভেজা কাপড়ে থাকতে হচ্ছে গৃহবধূদের, ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি-কাশি, কিন্তু ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই।
কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা-পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে নানা রকম দুর্দশার চিত্র মিলেছে। বানভাসিরা জানিয়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগের কথা।
সদর উপজেলার নুরানীপাড়া গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৪৮) বলেন, ১৩ জনের সংসার তার। স্বামী, স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন ছেলের বউ ও বাচ্চাসহ একান্নবর্তী পরিবার। বোরো ধান, কাউন আর পাট আবাদ করেন তারা।
“এবার ধান হলেও কাউন নষ্ট হয়ে গেছে। পাট বন্যায় তলিয়ে গেছে। সেই পাট ছিঁড়ে শাক আর কচুর ডাল দিয়ে দুপুরের রান্না হচ্ছে। দুপুরের রান্না রাতসহ কাল দুপুর পর্যন্ত চালাতে হবে।”