বন্যার ক্ষতির হিসাবে শুরুতেই গরমিল
সিলেট ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বন্যাদুর্গত মানুষ পার করছেন কঠিন সময়। সিলেট অঞ্চলে নামতে শুরু করলেও উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বাড়ছে পানি। প্রতিদিন বাড়ছে প্লাবিত এলাকার পরিধি। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার থেকে গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক দুর্যোগ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাদের ওই প্রতিবেদনে সারাদেশে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে গরমিল।
সরকারিভাবে এখন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষয়ক্ষতির হিসাবের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। সরকারি হিসাবে গরমিল থাকলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। সংশ্নিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নির্ভুল চূড়ান্ত হিসাব তৈরি করা দরকার। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও সম্পদের বিবরণও থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে বন্যায় আক্রান্ত জেলা বলা হয়েছে ১৩টি। এসব জেলার ক্ষতিগ্রস্ত স্থান, পরিবার ও লোকসংখ্যার তথ্যও দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের তালিকায় নাম নেই এমন জেলায়ও দেওয়া হয়েছে বরাদ্দ। আবার তালিকায় থাকা জেলাও পায়নি ত্রাণ। এ ছাড়া বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সরকারি হিসাবের রয়েছে ফারাক। জেলা প্রশাসনের হিসাবের সঙ্গেও দেখা গেছে তথ্যের অমিল।