দুর্যোগে ত্রাণ অপ্রতুল দুর্ভোগ ভয়াবহ
টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত অধিকাংশ ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাটে এখনো পানি।
মঙ্গলবার বৃষ্টি কম হওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে খুবই ধীরে ধীরে পানি নামতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বন্যাকবলিত প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছানোয় গরিব-অসহায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কষ্টে তাদের দিন কাটছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে বানভাসিরা অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। এছাড়া বানভাসিদের মধ্যে রোগবালাইও ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
বৃষ্টি কিছুটা কম হওয়ায় সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব স্থানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এখনো দেশের প্রধান সব নদনদীর পানি বাড়ছে। এ কারণে কিশোরগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এছাড়া নতুন করে প্লাবিত হতে পারে শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার নিম্নাঞ্চল। দেশের আটটি নদীর ১৮ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ২৩ গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভাঙনকবলিত মানুষ।