এই বদ অভ্যাসের কারণেই শিশুরা জেদি হয়ে ওঠে, অভিভাবকরা কান খুলে শুনুন...
জেদি এবং একগুঁয়ে আপনার শিশু? যা চাইছে তা না দিলে হা-পা ছুঁড়ে কাঁদতে শুরু করে? ছোট থেকেই সাবধান হয়ে যান। নইলে বাড়তে পারে বিপত্তি। এই সমস্যা কিন্তু আপনার একার নয়, অনেক অভিভাবকই আছেন যাঁরা এই পরিস্থিতির ভুক্তভোগী। এই বিষয়ে অনেকেই পরামর্শ দেন বড় হয়ে গেলে সব সমসযা মিটি যাবে, আদৌ কি তা হয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শৈশবে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে কৈশোরকালে জেদের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। তখন মোকাবিলা করাটা সবচেয়ে কঠিন হয়ে পড়ে।
আসলে শিশুরা তাদের চারপাশ থেকে অনেক কিছুই শেখে, যার মধ্যে এটিও পড়ে। তাই বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে ভালোবাসা দেওয়া যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই শিশুর আচরণের পরিবর্তনগুলি বোঝাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপনিসন্তানের আচরণ থেকে কিছু সূত্র পেতে পারেন যা আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে সে কতটা জেদি হয়ে পড়ছে। এই প্রতিবেদনে আপনাকে এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে বলা হচ্ছে যা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন...
বাধ্য না হওয়া
পরিবারে কিছু শিশুকে এত আদরে রাখা হয় যে তাদের বাধ্য না হওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়। তাদের প্রতিটি চাহিদা পূরণ করতে হবে বলে তারা দাবি করে। যখন তাদেরতে বকা-ঝকা করা হয় তখন কাঁদতে শুরু করে। হাত-পা ছুঁড়ে কেঁদে ভাসিয়ে দেয়।
রাগ দেখানো
যখন কোনও শিশু বুঝতে শুরু করে সে তার বাবা-মার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তখনই রাগ দেখাতে শুরু করে। সে হয়তো বলতে থাকে 'আমি তোমাদের সঙ্গে থাকতে চাই না' বা 'ঠাকুমা-দাদু তোমার চেয়ে ভালো।' এই সব লক্ষণ দেখলে তখনই সতর্ক হয়ে যান।
বাবা-মায়ের তুলনা
যখন একটি শিশুর চাহিদা পূরণ না হয়, তখন তারা তাদের বন্ধুদের পিতামাতার সঙ্গে নিজের বাবা-মার তুলনা করতে শুরু করে। শিশু যখন অনুভব করবে যে এটি করার ফলে তার কথা গ্রহণ করা হয়েছে, তখন সে এটিকে তার অভ্যাসে পরিণত করতে শুরু করবে।
মিথ্যে বলা
শিশু যখন অনুভব করে যে তার চাহিদা পূরণের সম্ভাবনা কম, তখন সে মিথ্যের আশ্রয় নেয়। সে আপনাকে বলতে পারে যে তার বন্ধুর কাছে এই জিনিসটি আছে তার কাছে নেই। এগুলো সবই কারসাজি শিশুদের অজুহাত।
অভিভাবক হিসেবে যা করবেন
যখনই শিশু তার বক্তব্য তুলে ধরার জন্য নানা উপায় ব্যবহার করবে, তখন আপনার তাকে বোঝানো উচিত যে এটি ঠিক নয়। এই ভাবে কিছু হাসিল করা যায় না। শিশু যদি তার চাহিদার কথা বলে যা আপনার সাধ্যের তুলনায় বেশি তাহলে আপনার কাছে কত টাকা রয়েছে তা তাকে জানিয়ে দিন। আপনি কী ভাবে অন্যদের মতো তার প্রতিটি চাহিদা পূরণ করবেন তাকেই জিজ্ঞেস করুন। শিশুকে চিৎকার করে না বকা দিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।